sleep paralysis-ঘুমের পক্ষাঘাত কি এবং কেন হয়
sleep-paralysis- ঘুমের পদাঘাত একধরণের মানসিক সমস্যা।অনেক লোকের মধ্যে এ সমস্যা গুলো লক্ষ করা যায়।ঘুমের পদাঘাত হলে কিছু সময়ের জন্য তার শারিরিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।আপনিও যদি এমন সমস্যায় ভোগেন তাহলে আজকের এই পোস্ট-টি আপনার জন্য।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে sleep paralysis-ঘুমের পক্ষাঘাত কি এবং কেন হয়,ইসলামের দৃষ্টিতে ঘুমের পক্ষাঘাত,ঘুমের পক্ষাঘাতের কারণ,ঘুমের পক্ষাঘাত কীভাবে এড়ানো যায়,ঘুমের পক্ষাঘাতের লক্ষণ,ঘুমের পক্ষাঘাত প্রতিরোধের উপায়,ঘুমের পক্ষাঘাত কেমন দেখায় এ সকল বিষয় তুলে ধরবো। জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- Sleep paralysis-ঘুমের পক্ষাঘাত কি এবং কেন হয়
Sleep-paralysis-ঘুমের পক্ষাঘাত কি এবং কেন হয়
ঘুমের পক্ষাঘাত এই সমস্যাগুলো অল্প বয়সী লোকদের মধ্যে বেশি হতে দেখা যায়।সাধারণত ২৫-৩০ বছর বয়সী লোকদের মধ্য দেখা যায়।ঘুমের পক্ষাঘাত-কথাটি অনেক জায়গায় অনেক রকম বলা হয়ে থাকে।অনেকেই এই সমস্যা কে বোবায় ধরা বলে থাকে।আপনি যদি এই সমস্যা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পেতে চান বা আপনার পরিবারের কেউ যদি sleep paralysis সমস্যায় ভোগে তাহলে তাকে এ সমস্যা থেকে বাঁচাতে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন।
Sleep-paralysis কি
Sleep-paralysis এক ধরণের শারিরীক সমস্যা।কোনো ব্যাক্তি কিছু সময়ের জন্য তার শারিরিক ক্ষমতা অর্থাৎ,তার হাত,পা নাড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলায় হলো sleep paralysis.
sleep-paralysis কেন হয়ঃ-
মানুষ যখন ঘুম পড়ে তখন এই সমস্যাটি ঘটে।যখন কোনো ব্যাক্তি গভীর ঘুম পড়ে বা ঘুম থেকে উঠার আগ মূহুর্তে সে ভয়ংকর কিছু সপ্ন দেখে,তখন সে সপ্ন-টাকে বাস্তব মনে করে এবং ভয়ে তার মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়।তখন সে ব্যাক্তি কিছু সময়ের জন্য প্যারালাইসিস হয়ে যায়।এটা সাধারণত কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় সর্বোচ্চ ১ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে। তারপরে আবার সে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
ইসলামে দৃষ্টিতে ঘুমের পক্ষাঘাতঃ-
ঘুমের পক্ষাঘাত বা বোবায় ধরা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টি-তে কি সেটা জেনে নেওয়া যাক।
মানুষ যেমন সৃষ্টির সেরা জীব।ঠিক তেমনই আল্লাহ তায়ালা আরও অনেক প্রজাতির প্রাণী তৈরি করেছেন।তার মধ্যে একটা জ্বীন জাতি।জ্বীন এমন একটি প্রাণী যা চোখে দেখা যায় না।মানুষ যেমন বোবা এবং ভালো আছে ঠিক তেমনই জ্বীনের মধ্যে এরকম বোবা জ্বীন এবং ভালো জ্বীন রয়েছে।
মানুষ যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন বোবা জ্বীন মানুষের সংস্পর্শে আসে।যেহেতু বোবা জ্বীন,তাই মানুষের শরীরে আসার পরে এডজাস্ট করতে পারে না।তাই মানুষ নাক ডাকার মতো একটা অস্বাভাবিক আওয়াজ করতে থাকে। জ্বীন গুলো মানুষের শরীরে কয়েক সেকেন্ড বা ১ মিনিট মতো থাকে তার পরে ছেড়ে দেয়।তারা যদি এভাবে অনেক বেশি সময় ধরে রাখে তাহলে সে ব্যাক্তি মারাও যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ শবে কদরের আমল- শবে কদরের রাতে যে সকল আমল গুলো করবেন
বোবায় ধরা বা ঘুমের পক্ষাঘাত সমস্যাটি বছরে ১থেকে ২ বার হতে পারে।আবার কোনো কোনো ব্যাক্তির নাও হতে পারে।যে ব্যাক্তিকে তাদের পছন্দ হয় সেইসব ব্যাক্তিকে জ্বীন অর্থাৎ,বোবায় বেশি ধরে।কখনো মানুষ কে তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে জ্বালানোর জন্য, মানুষের সংস্পর্শে এসে থাকে।
ঘুমের পক্ষাঘাতের কারণঃ-
কোনো ব্যাক্তি ঘুমন্ত অবস্থায় তার শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নাড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলায় হলো ঘুমের পক্ষাঘাত।ঘুমের পক্ষাঘাত যখন কোনো ব্যাক্তির মধ্যে ঘটে তখন মনে হয়,শরীরের উপর কোনো বস্তু ভর করে আছে।অনেক সময় মানুষ ঘুমের মধ্যে অনেক খারাপ সপ্ন দেখে।যেমন:আশেপাশে অনেক খারাপ কিছু ঘটছে বা ভয়ংকর কোনো জীব জন্তু ইত্যাদি দেখতে পায় তখন ভয়ে তার শরীর অবাস হয়ে যায়।
বোবা জ্বীন গুলো মানুষের শরীরে আসতে চায় তখন তারা এসব খারাপ সপ্ন দেখানোর মাধ্যমে।মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। তখন মনে হয় তাদের উপর এক অশুভ শক্তিভর করছে বলে মনে হয়।
ঘুমের পক্ষাঘাত কীভাবে এড়ানো যায়ঃ-
ঘুমের পক্ষাঘাত একধরনের মানসিক রোগ।এটা আপনাআপনি ঠিক হয়ে যায় আবার কখনো কখনো একটা রোগে পরিণত হওয়ার মতো হয়ে যায় অর্থাৎ,প্রতিদিন এই সমস্যা দেখা দেয়।তাই কিভাবে এ সমস্যাগুলো এড়াবেন তুলে ধরা হলোঃ-
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো।
- রাত কম জাগা।
- নেশা জাতীয় কোনো কিছু সেবন না করা।
- ঘুমানোর আগে কোনো খারাপ ভিডিও না দেখা।
- একা না ঘুমানো।
- ভয়ংকর কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা না করা।
ঘুমের পক্ষাঘাতের লক্ষণঃ-
ঘুমের পক্ষাঘাত হলে মানুষ কে অসার করে দেয়।আপনার মধ্যে বা আপনার সন্তানের মধ্যে এ সমস্যা আছে কিনা,কিভাবে বুঝবেন? তাই চলুন এই সমস্যা আছে কিনা জানার জন্য কিছু লক্ষণ জেনে নিই।
- হঠাৎ হাত,পা নাড়াতে না পারা
- ঘুমের মধ্যে হঠাৎ লাফিয়ে উঠা
- ঘুমের মধ্যে অদ্ভুত কিছু আওয়াজ করা। যেমন: ফিসফিস, গর্জন করা ইত্যাদি
- ভয় পাওয়া
- হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে, শরীর ঘামতে থাকা
- ঘুমালে শরীরের উপর কোনো ভারী জিনিস আছে মনে হওয়া
- নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়
- রাতে ঘুমালে একাকী অনুভব করা,ভয় পাওয়া
- বুকে চাপ অনুভব করা
ঘুমের পক্ষাঘাত প্রতিরোধের উপায়ঃ-
কোনো মানুষের ঘুমের পক্ষাঘাত বিভিন্ন কারণে হতে পারে।রোগীর কি কারণে এই সমস্যা হচ্ছে সেটা বের করতে হবে তারপরে প্রয়োজন মতো চিকিৎসা করতে হবে।
ঘুমের পক্ষাঘাত হয়,এমন সব ব্যাক্তির যারা কোনো নেশা জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করে,ভীতু-একাকি ভয় পায়,মানসিক ভাবে অসুস্থ, ঘুমের সমস্যা,অভাবগ্রস্থ, টেনশন করে এমন ব্যাক্তির মধ্যে এই সমস্যা গুলো বেশি হতে পারে।
রোগীর কাছ থেকে শুনতে হবে এবং সমস্যা খুজে বের করতে হবে,তারপর রোগীকে তার সমস্যা সম্পর্কে বোঝাতে হবে কেন তার এমন সমস্যা হচ্ছে। তারপরও সমস্যা সমাধান না হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
ঘুমের পক্ষাঘাত কেমন দেখায়ঃ-
ঘুমের পক্ষাঘাত কেমন দেখায় এটা আসলে ঐ ভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ: ব্যাক্তি বিশেষ ঘটনাটি এক এক রকম ঘটতে পারে। তাই কেমন দেখাবে এটা বলা যায় না।
যখন বোবায় ধরে তখন সবার ক্ষেত্রে কিছু বৈশিষ্ট্য একই লক্ষ করা যায়।সেগুলো হলো:- হঠাৎ হাত,পা নাড়াতে না পারা,ঘুমের মধ্যে হঠাৎ লাফিয়ে উঠা,ঘুমের মধ্যে অদ্ভুত কিছু আওয়াজ করা (যেমন: ফিসফিস, গর্জন করা ইত্যাদি),ভয় পাওয়া,হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে, শরীর ঘামতে থাকা।
লেখকের শেষ মন্তব্যঃ-
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে ইসলামে দৃষ্টিতে ঘুমের পক্ষাঘাত,ঘুমের পক্ষাঘাতের কারণ,ঘুমের,পক্ষাঘাত কীভাবে এড়ানো যায়,ঘুমের পক্ষাঘাতের লক্ষণ,ঘুমের পক্ষাঘাত প্রতিরোধের উপায় এসকল বিষয় তুলে ধরেছি।আর্টিকেল-টির মাধ্যমে আপনি যেসব উত্তর খুঁজছিলেন। আশা করি আপনাকে আমরা সেসকল উত্তর জানাতে পেরেছি।
উপরিউক্ত সমস্যা গুলো আপনার মধ্যো যদি লক্ষ করেন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।ঘুমের পক্ষাঘাত এমন এক সমস্যা, যার মাধ্যমে জ্বীন আপনার ক্ষতি করতেও পারে আবার কখনো আপনার জ্বীবন কেড়ে নিতে পারে।তাই সর্তক হন।এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
রিফাত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url