আকিকার পশু কেমন হওয়া উচিত,আকিকার পশুর গোস্ত বন্টনের নিয়ম
ছোট বাচ্চাদের বাইকের দামআসসালামু ওয়ালাইকুম। আশা করি উপরের টাইটেল দেখে বুঝতে পারছেন আজকের আলোচনার বিষয় কি? আজকের আলোচনায় থাকছে,আকিকার পশু কেমন হওয়া উচিত,আকিকার পশুর গোস্ত বন্টনের নিয়ম।
কোনো শিশু জন্মে গ্রহণের পরে ইসলামে আকিকা করার বিধান রয়েছে।হযরত মুহাম্মদ (স.) উম্মতকে নবজাতকের জন্য আকিকা করতে উৎসাহিত করেছেন। তোমার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করো।অর্থাৎ, পশু জবাই করো।সন্তানের শরীর থেকে কষ্ট দায়ক বস্তু (চুল) দূর করে দাও। (বুখারি-৫৪৭২)
পোস্টের সূচিপত্রঃ- আকিকার পশু কেমন হওয়া উচিত,আকিকার পশুর গোস্ত বন্টনের নিয়ম
আকিকার পশু কেমন হওয়া উচিত,আকিকার পশুর গোস্ত বন্টনের নিয়ম
শুমাত্র আকিকার উদ্দেশ্য পশু জবাই করলেই আকিকা হয়ে যাবে না।আকিকা করার বেশকিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো মেনে আকিকা করতে হবে।যদি ছেলে সন্তান হয় তাহলে একই ধরণের দুইটি বকরি আর যদি মেয়ে সন্তান হয় তাহলে একটি বকরি দিয়ে আকিকা করা সুন্নত।
আকিকার পশু কেমন হওয়া উচিত:- এ সম্পর্কে সঠিক বক্তব্য হলো-যেসব পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় এমন পশু দিয়ে আকিকা করতে হবে।যেসব পশু দিয়ে কোরবানি করলে কোরবানি শুদ্ধ হয় না এমন পশু দিয়ে আকিকা করলে আকিকাও শুদ্ধ হবে না।তাই পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ BRTC- বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরির অনলাইন আবেদন পদ্ধতি
কোরবানির পশুর সাথে চাইলে কেউ আকিকার জন্য শরিক হতে পারবে।অনেক সময় দেখা যায় বড় পশু (গরু,মহিষ,উট ইত্যাদি) ৪ জনে মিলে কোরবানি করছে সেখানে দুই-এক জন আকিকার জন্য শরিক হতে পারে।তবে কেউ একটি অংশে আকিকা এবং কোরবানি করার নিয়ত করে তাহলে,কোরবানি হবে না।আর, সন্তান মৃত হলে আকিকা করার প্রয়োজন নেই।আকিকা করা হয় মূলত,সন্তানের বালা-মুসিবত দূর করার জন্য।তাই মৃত সন্তানের ক্ষেত্রে আকিকা করা সুন্নত নয়।(আহসানুল ফতোয়া: ৭/৫৩৬)
কোনদিন আকিকা করা উত্তম
সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে সপ্তম দিনে আরকি করা উত্তম। রাসুল (স.) তার দৌহিত্র হাসান ও হুসাইন (রা.) আকিকা সপ্তম দিনে করেছিলেন।(আবু দাউদ-২৮৩৪)।
কোনো ব্যাক্তি যদি সপ্তম দিনে করতে না পারে তাহলে ১৪ তম দিনে করতে পারবে।যদি ১৪ তম দিনেও না পারে তাহলে ২১ তম দিনে আকিকা করতে পারবে। সে যদি ২১ তম দিনেও না পারে তাহলে পরর্বীতে যে কোনো দিন আকিকা আদায় করে নিতে পারবে।
আকিকার পশু জবাইয়ের সময়
অনেক অঞ্চলে একটি কুপ্রথা রয়েছে যে,যখন নবজাতকের মাথায় ক্ষুর বসানো হবে,ঠিক ঐ মুহূর্তে পশু জবাই করতে হবে,এ ধারণা একদমই সঠিক নয়। সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। মাথা মুণ্ডানোর আগে এবং পরে যেকোনো সময় আকিকার পশু জবাই করা যাবে। আকিকার পশু জবাই করার পূর্বে মাথা মুণ্ডানো উত্তম।
আকিকার পশু জবাই করার দোয়া
কোরবানির পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে, আকিকার পশুর ক্ষেএেও সেসব শর্ত প্রয়োজ্য।কোরবানির পশুর কোনো অংশ যেমন মজুরি হিসেবে দেওয়া যায় না।ঠিক তেমনই আকিকার পশুর কোনো অংশ মজুরি হিসেবে দেওয়া যায় না এবং এর চামড়া বা মাংস বিক্রি করা যাবে না বরং আকিকার মাংস খাবে, সদকা করবে, যাকে ইচ্ছা তাকে উপহার দিবে।
আকিকার পশুর গোস্ত বন্টনের নিয়ম
কোনো শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পরে সপ্তম দিনে নবজাতকের মঙ্গল কামনায় আল্লাহর উদ্দেশ্য পালিত অনুষ্ঠানের নাম আকিকা। এই দিন শিশুর সুন্দর একটা নাম রাখা হয়।আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম আর কোরবানির গোস্ত বন্টনের নিয়ম একই।আকিকার পশুর মাংস ৩ ভাগে ভাগ করে। ১ ভাগ নিজের পরিবারের জন্য, ১ভাগ আত্নীয় স্বজনদের জন্য আর ১ ভাগ গরিব ফকির মিসকিনদের জন্য।
আরও পড়ুনঃ জিলহজ মাস এবং কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
আকিকার পশু কি কি
কোরবানির পশু যেগুলো আকিকার পশুও একই।
যেমন: উট, গাভী, মহিষ, বকরি,ভেড়া,দুম্বা ইত্যাদি।পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোরবানি করার ক্ষেত্রে পশুর যেগুণ গুলো থাকা দরকার আকিকার ক্ষেত্রেও একই।ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে ২ টি বকরি এবং মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে ১ টি বকরি প্রয়োজ্য।
আকিকার পশু বয়স কেমন হতে হবে
আকিকার পশুর বয়স কোরবানির পশুর বয়সের মতো হতে হবে।কোরবানি করার ক্ষেত্রে বকরি বয়স ১ বছর হওয়া লাগে।১বছরের কম বয়সী বকরি দিয়ে কোরবানি করলে কোরবানি শুদ্ধ হয় না।তাই আকিকার ক্ষেত্রে একই শর্ত প্রয়োজ্য।১বছরের কম বয়সী বকরি দিয়ে আকিকা করলে আকিকা শুদ্ধ হবে না।
লেখকের শেষ মন্তব্যঃ-
আমরা আজ এই আর্টিকেলের মধ্যে আকিকা সম্পর্কে কিছু জানা ও অজানা তথ্য তুলে ধরেছি।আশা করি আর্টিকেল-টি পড়ার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন।এতক্ষণ সাথে থারকার জন্য ধন্যবাদ।
রিফাত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url