১০০০ টাকায় সেরা ৭ রাউটার ২০২৫ || কিনুন এখনই!

Netis Router – দাম, স্পেসিফিকেশন ও ফিচার জানুনআপনি আপনার বাজেটের মধ্যো সেরা রাউটার খুজে পাচ্ছেন না।আপনার বাজেট যদি হয় ১০০০ টাকার মধ্যে, তাহলে ভালো রাউটার খুঁজে বের করাটা একটু কঠিন। চিন্তা নেই!আজকের পোস্ট থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৭টি রাউটারের একটা তালিকা জেনে নিন। এই তালিকা আপনাকে সঠিক রাউটারটি বেছে নিতে সাহায্য করবে।

১০০০ টাকায় সেরা ৭ রাউটার ২০২৫ || কিনুন এখনই!

আজকের ডিজিটাল যুগে ফাস্ট ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এই ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ভালো একটা রাউটার থাকা খুবই দরকার। ১০০০ টাকার মধ্যে ভালো রাউটার চয়েজ করতে হলে আজকের সম্পূর্ণ পোস্ট দেখতে হবে। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!

সূচিপত্রঃ ১০০০ টাকায় সেরা ৭ রাউটার ২০২৫ || কিনুন এখনই!

১০০০ টাকার মধ্যে সেরা রাউটার: ২০২৫ সালের তালিকা

বাজারে বিভিন্ন দামের রাউটার পাওয়া যায়, কিন্তু সীমিত বাজেট থাকলে কিছু ভালো অপশন খুঁজে বের করা যায়। নিচে ২০২৫ সালের জন্য ১০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৭টি রাউটারের তালিকা দেওয়া হলো:

রাউটার মডেল স্পেসিফিকেশন সুবিধা অসুবিধা
Tenda N301 300Mbps, 2 অ্যান্টেনা সহজ সেটআপ, ভালো কভারেজ কিছু ক্ষেত্রে স্পিড কম হতে পারে
TP-Link TL-WR840N 300Mbps, 2 অ্যান্টেনা স্থিতিশীল সংযোগ, ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস খুব আধুনিক নয়
D-Link DIR-615 300Mbps, 1 অ্যান্টেনা কম দাম, বেসিক ব্যবহারের জন্য ভালো কভারেজ তুলনামূলক কম
Xiaomi Mi Router 4C 300Mbps, 4 অ্যান্টেনা শক্তিশালী সিগন্যাল, স্মার্ট কন্ট্রোল সেটিংস কিছুটা জটিল হতে পারে
Beetel 450TC1 150Mbps, 1 অ্যান্টেনা ছোট অফিস বা বাসার জন্য পারফেক্ট স্পিড সীমিত
Mercusys MW305R (300Mbps) 3 অ্যান্টেনা কম দামে ভালো পারফর্মেন্স অ্যাডভান্সড ফিচার কম
TP‑Link WR820N 300Mbps বাজেট রেঞ্জ নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড ৫GHz নেই

এই তালিকাটি আপনাকে একটি ধারণা দেবে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী, আপনি এইগুলোর মধ্যে থেকে একটি বেছে নিতে পারেন।

রাউটার কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

১০০০ টাকার মধ্যে রাউটার কেনার সময় কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। নিচে কয়েকটি বিষয় আলোচনা করা হলো:

  • স্পিড: আপনার ইন্টারনেট প্ল্যানের স্পিড অনুযায়ী রাউটারটি সাপোর্ট করে কিনা, তা দেখে নিতে হবে। সাধারণত, 300Mbps স্পিডের রাউটার এই বাজেটে ভালো অপশন।
  • কভারেজ: আপনার বাসার আকার অনুযায়ী রাউটারের কভারেজ কেমন, তা জানা জরুরি। একাধিক অ্যান্টেনা থাকলে কভারেজ ভালো পাওয়া যায়।
  • ব্র্যান্ড: পরিচিত ব্র্যান্ডের রাউটার কেনা ভালো, কারণ তারা সাধারণত ভালো সার্ভিস এবং ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে।
  • ব্যবহারকারীর সংখ্যা: কতজন ব্যবহারকারী একই সাথে রাউটার ব্যবহার করবে, তার উপর নির্ভর করে রাউটার বাছাই করতে হবে। বেশি ব্যবহারকারীর জন্য ভালো প্রসেসর এবং মেমোরি যুক্ত রাউটার প্রয়োজন।

ভালো রাউটার চেনার সহজ টিপস

একটি ভালো রাউটার চেনার জন্য কিছু সহজ টিপস অনুসরণ করতে পারেন। যা, আপনার জন্য সেরা রাউটার চিনতে সাহায্য করবে।নিম্নে ভালো রাউটার চেনার সহজ টিপস তুলে ধরা হলো-

  1. রাউটারের স্পেসিফিকেশন ভালোভাবে দেখুন।
  2. রিভিউ এবং রেটিং চেক করুন।
  3. ওয়ারেন্টি এবং সার্ভিস সম্পর্কে জেনে নিন।
  4. ব্যবহার করা সহজ কিনা, তা যাচাই করুন।

১০০০ টাকার মধ্যে রাউটারের সুবিধা ও অসুবিধা

১০০০ টাকার মধ্যে রাউটার কেনার কিছু সুবিধা ও অসুবিধা আছে। সাধারণত এই রাউটারগুলোর বাজেট অনেক   লো,  ছোট   বাসাবাড়ি   বা   স্টুডেন্ট   দের   জন্য  ভালো। আরও  ভালোভাবে  বললে,  আপনার  বাসায়  যদি ২টি  রুম  থাকে   বা   ৩-৪ টা   ডিভাইজ   ব্যাবহার   করবেন তাহলে  ১০০০ টাকার  মধ্যে  রাউটার  যথেষ্ঠ। চলুন, ১০০০ টাকার মধ্যে রাউটার কেনার কিছু সুবিধা ও অসুবিধা গুলো জেনে নেওয়া যাক:

১০০০ টাকার মধ্যে রাউটার কেনার সুবিধা

১০০০ টাকার মধ্যে রাউটার কেনার সুবিধা তুলে ধরা হলো-

  • দাম কম হওয়ায় সহজে কেনা যায়।
  • বেসিক ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট।
  • ছোট বাসা বা অফিসের জন্য ভালো।
  • কম বিদ্যুৎ খরচ: ছোট ডিভাইস হওয়ায় বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।

১০০০ টাকার মধ্যে রাউটার কেনার অসুবিধা

১০০০ টাকার মধ্যে রাউটার কেনার অসুবিধা তুলে ধরা হলো:-

  • স্পিড এবং কভারেজ তুলনামূলক কম থাকে।
  • আধুনিক ফিচার নাও থাকতে পারে।
  • বেশি ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত নয়।
  • ডুয়াল ব্যান্ড নাও থাকেতে পারে: সাধারণত ২.৪GHz ব্যান্ড সাপোর্ট করে, ৫GHz ব্যান্ড থাকে না। ফলে স্পিড ও স্ট্যাবিলিটি কিছুটা কম হয়।
  • দীর্ঘসময় চালালে গরম হয়: সস্তা রাউটারগুলোতে হিট কন্ট্রোল সিস্টেম দুর্বল থাকে।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রাউটার এবং তাদের বৈশিষ্ট্য

বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রাউটার পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এবং তাদের বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো:

Tenda

Tenda রাউটারগুলো তাদের সহজ সেটআপ এবং ভালো কভারেজের জন্য পরিচিত। এই ব্র্যান্ডের রাউটারগুলো সাধারণত ছোট এবং মাঝারি আকারের বাসার জন্য উপযুক্ত।

TP-Link

TP-Link রাউটারগুলো তাদের স্থিতিশীল সংযোগ এবং ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসের জন্য জনপ্রিয়। এই ব্র্যান্ডের রাউটারগুলো বিভিন্ন দামের মধ্যে পাওয়া যায় এবং এদের মধ্যে কিছু মডেল ১০০০ টাকার নিচেও পাওয়া যায়।

D-Link

D-Link রাউটারগুলো তাদের কম দাম এবং বেসিক ব্যবহারের জন্য পরিচিত। এই রাউটারগুলো ছোট অফিস বা বাসার জন্য ভালো অপশন।

Xiaomi

Xiaomi রাউটারগুলো তাদের শক্তিশালী সিগন্যাল এবং স্মার্ট কন্ট্রোলের জন্য পরিচিত। এই রাউটারগুলো সাধারণত আধুনিক ফিচার এবং ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে।

Beetel

Beetel রাউটারগুলো ছোট অফিস বা বাসার জন্য পারফেক্ট। এই রাউটারগুলো তাদের কম দাম এবং সহজ ব্যবহারের জন্য পরিচিত।

রাউটারের সেটিংস এবং কনফিগারেশন

রাউটার কেনার পর এর সেটিংস এবং কনফিগারেশন সঠিকভাবে করা খুবই জরুরি। নিচে কিছু সাধারণ সেটিংস এবং কনফিগারেশন নিয়ে আলোচনা করা হলো:

  • ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন: রাউটার কেনার পর প্রথম কাজ হলো ওয়াইফাইয়ের ডিফল্ট পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন, যা সহজে অনুমান করা যায় না।
  • সিকিউরিটি সেটিংস: আপনার রাউটারের সিকিউরিটি সেটিংস যেমন WPA2 বা WPA3 এনক্রিপশন চালু করুন। এটি আপনার নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত রাখবে।
  • ফার্মওয়্যার আপডেট: রাউটারের ফার্মওয়্যার সবসময় আপডেটেড রাখা উচিত। এটি রাউটারের পারফরম্যান্স এবং সিকিউরিটি উন্নত করে।
  • গেস্ট নেটওয়ার্ক: আপনার বাসায় অতিথি এলে তাদের জন্য আলাদা গেস্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন। এতে আপনার মূল নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত থাকবে।

১০০০ টাকার মধ্যে কেনা রাউটারের ইন্টারনেট কেমন হবে?

১০০০ টাকার মধ্যে কেনা রাউটার দিয়ে আপনি সাধারণ ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইমেইল চেক করা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের মতো কাজগুলো সহজেই করতে পারবেন। তবে, এই রাউটারগুলো দিয়ে হাই-ডেফিনেশন ভিডিও স্ট্রিমিং বা অনলাইন গেমিংয়ের মতো ভারী কাজ করতে সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি এই ধরনের কাজের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, তাহলে একটু বেশি দামের রাউটার কেনা ভালো।

রাউটারের অতিরিক্ত কিছু ফিচার

কিছু রাউটারে অতিরিক্ত কিছু ফিচার থাকে, যা আপনার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে পারে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার আলোচনা করা হলো:

  • প্যারেন্টাল কন্ট্রোল: এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি আপনার বাচ্চাদের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
  • কিউওএস (QoS): এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি কোন ডিভাইসে বা অ্যাপ্লিকেশনে বেশি ব্যান্ডউইথ দিতে চান, তা নির্ধারণ করতে পারবেন।
  • ইউএসবি পোর্ট: কিছু রাউটারে ইউএসবি পোর্ট থাকে, যা দিয়ে আপনি ফাইল শেয়ারিং বা প্রিন্টার সংযোগ করতে পারবেন।

রাউটার ব্যবহারের কিছু টিপস ও ট্রিকস

রাউটার ব্যবহারের সময় কিছু টিপস ও ট্রিকস অনুসরণ করলে আপনি ভালো পারফরম্যান্স পেতে পারেন:

  1. রাউটারটিকে দেয়ালের কাছাকাছি বা উঁচু স্থানে রাখুন, যাতে সিগন্যাল ভালোভাবে ছড়াতে পারে।
  2. রাউটারটিকে সরাসরি সূর্যের আলো বা গরম স্থান থেকে দূরে রাখুন।
  3. নিয়মিত রাউটার রিস্টার্ট করুন, এতে রাউটারের পারফরম্যান্স ভালো থাকে।
  4. রাউটারের আশেপাশে অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস রাখবেন না, যা সিগন্যালে বাধা দিতে পারে।

রাউটার কেনার সময় যে ভুলগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত

রাউটার কেনার সময় কিছু ভুল আমরা প্রায়ই করে থাকি। এই ভুলগুলো এড়িয়ে গেলে আপনি সঠিক রাউটারটি বেছে নিতে পারবেন:

  • শুধু দাম দেখে রাউটার কেনা উচিত নয়, স্পেসিফিকেশন এবং ফিচারগুলো ভালোভাবে দেখে কিনুন।
  • আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী রাউটার বাছাই করুন, অতিরিক্ত ফিচারের জন্য বেশি দাম দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
  • রিভিউ এবং রেটিং না দেখে রাউটার কিনবেন না, অন্যান্য ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা জেনে নিন।
  • ওয়ারেন্টি এবং সার্ভিস সম্পর্কে না জেনে রাউটার কিনবেন না, বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়াটা জরুরি।

শেষ মন্তব্য- ১০০০ টাকার মধ্যে সেরা রাউটার

তাহলে এই ছিল ২০২৫ সালের জন্য ১০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৭টি রাউটারের তালিকা। আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনাকে সঠিক রাউটারটি বেছে নিতে সাহায্য করবে। আপনার যদি এই বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর যদি এই তালিকাটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিফাত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url