পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৫- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ কত হবে জানুন
জন্মনিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম ২০২৫আসসালামু ওয়ালাইকুম, আপনি বিদেশ যাবেন বা যাওয়ার কথা ভাবছেন কিন্তু জানেন না পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা খরচ হয় তাহলে আজকের এই আর্টিকেল-টি আপনার জন্য।
কোনো দেশে যেতে হলে পাসপোর্ট প্রযোজন তাই আমাদেরকে প্রথমেই জানতে হবে,পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা খরচ হয়। তাই চলুন এই পোস্টে মাধ্যোমে আমরা বিষয়টা ক্লিয়ার করে দিই।জানতে হলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন।
পোস্টের সূচিপত্রঃপাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৫- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ কত হবে জানুন
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৫- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ কত হবে
বর্তমানে দালাল ছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়।অনলাইনে ভোটার আইডেন্টি কার্ড,জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়।তবে আপনার পাসপোর্টের ধরণের উপর ভিত্তি করে ডকুমেন্টস প্রয়োজন হতে পারে।পাসপোর্টের ধরণ মূলত বয়সের উপর ভিত্তি করে হয়।তাই চলুন আগে পাসপোর্টের ধরণ জেনে নিই।
- ছোট শিশুদের পাসপোর্ট
- প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য পাসপোর্ট
- সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য পাসপোর্ট
কোন পাসপোর্টের জন্য কি কি লাগবে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো
ছোট শিশুদের পাসপোর্ট করতে হলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
- শিশুর জন্মনিবন্ধন সনদ
- অনলাইন আবেদন সারাংশ
- অনলাইন আবেদন কপি
- পিতা-মাতার ভোটার আইডেন্টি কার্ডের ফটোকপি (বাধ্যতামূলক)
- 3R সাইজ ফটো
- টিকা কার্ড
- আবেদন ফি ব্যাংক ড্রাফ্ট করে চালানো কপি।
যেহেতু শিশু নিজের ভোটার আইডেন্টি কার্ড নাই।সেহেতু গার্ডিয়ান হিসেবে পিতা-মাতার ভোটার আইডেন্টি কার্ড প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম জেনে নিন
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য পাসপোর্ট করতে হলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
- ভোটার আইডেন্টি কার্ডের ফটোকপি
- ইউনিয়ন বা পৌরসভা চেয়ারম্যান কতৃক প্রাপ্ত নাগরিক সনদপত্র।
- অনলাইন আবেদন সারাংশ
- অনলাইন আবেদন কপি
- আবেদন ফি ব্যাংক ড্রাফ্ট করে চালানো কপি।
- ইউটিলিটি বিলের কাগজ
- আবেদনকারী স্টুডেন্ট হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কতৃক প্রয়োজনীয় স্টুডেন্ট কার্ড অথবা সার্টিফিকেট।
- বিবাহিত হলে নিকানামাহ
- পিতা-মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি(অপশনাল)
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে গার্ডিয়ান ডকুমেন্টসের প্রয়োজন নাই।যেহেতু তার নিজের NID কার্ড আছে।যার NID কার্ড থাকবে তাদের প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ধরা হয়।এজন্য পিতা-মাতার ভোটার আইডেন্টি কার্ড না হলে হবে।
সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
- ভোটার আইডেন্টি কার্ডের ফটোকপি
- ইউনিয়ন বা পৌরসভা চেয়ারম্যান কতৃক প্রাপ্ত নাগরিক সনদপত্র।
- অনলাইন আবেদন সারাংশ
- অনলাইন আবেদন কপি
- আবেদন ফি ব্যাংক ড্রাফ্ট করে চালানো কপি।
- ইউটিলিটি বিলের কাগজ
- আবেদনকারী স্টুডেন্ট হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কতৃক প্রয়োজনীয় স্টুডেন্ট কার্ড অথবা সার্টিফিকেট।
- বিবাহিত হলে নিকানামাহ
- পিতা-মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি(অপশনাল)
- NOC- (No Objects Certificate)
- GO- ( Government Order)
বিবাহিত মেয়েদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে? বিবাহিতদের কাবিননামা বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট প্রয়োজন,স্বামী বা স্ত্রীর পাসপোর্ট থাকলে তার ১ কপি এবং ভোটার আইডেন্টি কার্ডের ১ কপি প্রয়োজন।এছাড়া বাদবাকি সবকিছু একই জিনিস প্রয়োজন। তাও চলুন আরেক বার দেখে নিই👇👇
- ভোটার আইডেন্টি কার্ডের ফটোকপি
- ইউনিয়ন বা পৌরসভা চেয়ারম্যান কতৃক প্রাপ্ত নাগরিক সনদপত্র।
- অনলাইন আবেদন সারাংশ
- অনলাইন আবেদন কপি
- আবেদন ফি ব্যাংক ড্রাফ্ট করে চালানো কপি।
- ইউটিলিটি বিলের কাগজ
- বিবাহিত হলে নিকানামাহ
- পিতা-মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি(অপশনাল)
বাংলাদেশের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট করতে হলে বিভিন্ন ডকুমেন্টস প্রয়োজন।ডকুমেন্টসগুলো বয়সের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজন পড়ে।যদি কোনো ব্যাক্তির বয়স ১৮ বছরের কম হয় তাহলে সে তার জন্ম নিবন্ধনের কাগজ ব্যবহার করবে এবং পিতা-মাতার ভোটার আইডেন্টি কার্ডের ফটোকপি। আর যদি কোনো ব্যাক্তির বয়স ১৮ বছর হয় বা তার বেশি হয় তাহলে সে তার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি (NID) ব্যবহার করবে।পিতা-মাতার (NID) অপশনাল।
৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
পাসপোর্টের আবেদনের ধরণের উপর আপনার টাকার পরিমাণ হবে।পাসপোর্ট করতে হলে ৩ ধরণের আবেদন করা যায়।যেমন : নিয়মিত পাসপোর্ট, জরুরি পাসপোর্ট, অতি জরুরি পাসপোর্ট।নিয়মিত পাসপোর্টের আবেদন করার ১৫ দিন পরে হাতে পাওয়া যায়, জরুরি পাসপোর্ট ৭ দিনে হাতে পাওয়া যায় এবং অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিন লাগে।এর মধ্যে আপনার যত দ্রুত পাসপোর্ট চাচ্ছেন তার উপর আপনার খরচ হবে।চলুন জেনে নিই,
আরও পড়ুনঃ সেনার দাম,ভরি কত করে ২০২৫ জেনে নিন
কোন ধরণের পাসপোর্টে করতে কেমন খরচ👇
- নিয়মিত পাসপোর্টঃ- ১৫ দিন সময় লাগে।খরচ- ৪,০২৫ টাকা।
- জরুরি পাসপোর্টঃ- ৭ দিন সময় লাগে। খরচ- ৬,৩২৫ টাকা।
- অতি জরুরি পাসপোর্টঃ- ২ দিন সময় লাগে।খরচ- ৮,৬২৫ টাকা।
ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
ইন্ডিয়ান/ ভারতীয় পাসপোর্ট করার জন্য যেগুলো প্রয়োজন এবং যে বিষয়গুলো ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে তা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-
- বর্তমান ঠিকানাঃ- আপনি যে জায়গায় স্থানীয়ভাবে বসবাস করেন এবং আপনার যেকোনো ইউটিলিটি বিলের কাগজ প্রয়োজন।বিলের কাগজ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন এটা যেনো ৩ মাসের মধ্যে হয়। ৩ মাসের বেশি হলে ভেরিফিকেশনে ঝামেলা হতে পারে।
- পাসপোর্টসাইজের ছবিঃ- আপনার আবেদন ফরমের সাথে পাসপোর্ট সাইজের ছবি এড করুন।মনে রাখবেন ছবি যেনো ৬ মাসের কমে হয় এবং আপনার চেহারা যেনো ভালোভাবে দৃশ্যমান হয়।
- জন্ম নিবন্ধনঃ- আপনার পাসপোর্টের আবেদনের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো জন্ম নিবন্ধন। আপনার বয়স এবং পরিচয় নিশ্চিত করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- NID বা ভোটার আইডি কার্ডঃ- এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আইডি কার্ডে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র। আপনি যে একটি দেশের বৈধ নাগরিক এটাই তার প্রমাণ।আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাই কজে সাহায্য করতে অন্যান্য কার্ড জমা দিতে পারেন। যেমনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স,এর ফলে আপনাকে কোনো বিড়ম্বনায় মধ্যো পড়তে হবে না।
লেখকের শেষ মন্তব্য
পাসপোর্ট করার সময় ডকুমেন্টস গুলো সর্তকতার সাথে সঠিক তথ্য জমা দিন তাহলে আপনার কাজ অনেক দ্রুত হবে।যদি কোনো ভুল ডকুমেন্টস সাবমিট করেন তাহলে আপনাকে অনেক ঝামেলা করতে হতে পারে।এজন্য ভালোভাবে দেখেশুনে ডকুমেন্টস সাবমিট করুন।আমরা এই পোস্টের মধ্যো পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে এসব বিষয় তুলে ধরেছি।আপনি যদি এই আর্টিকেল-টি মনোযোগ সহকারে পড়েন,আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য,ধন্যবাদ।
রিফাত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url