এলার্জি হলে করণীয়,ঘরোয়া পদ্ধতিতে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

আকিকার পশু কেমন হওয়া উচিত,গোস্ত বন্টনের নিয়মআসসালামু ওয়ালাইকুম, আপনি কি এলার্জির মতো অসস্থিকর রোগে ভুগছেন?কিন্তু কোনো ভাবে এসমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য।


এলার্জি হলে করণীয়,ঘরোয়া পদ্ধতিতে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়


আজকের এই পোস্টটি-তে আপনাদের জানাবো কিভাবে, আপনি এলার্জি থেকে মুক্তি পাবেন এবং এলার্জি হলে আপনার করণীয় কি? তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিই। জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন,আশা করি আপনার উপকারে আসবে।

পোস্টের সূচিপত্রঃ-এলার্জি হলে করণীয়,ঘরোয়া পদ্ধতিতে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়


এলার্জি হলে করণীয়,ঘরোয়া পদ্ধতিতে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

শীতকালে মানুষের শরীরে এলার্জি হতে বেশি দেখা যায়।যেহেতু শীতকালে কোনো বৃষ্টি বাদলা হয় না তাই বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বেড়ে যায়।তাই কাজ করার সময় হাতে গ্লাভস এবং মুখ ভালো করে বেধে নিতে হবে।এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় তুলে ধরা হলোঃ- 
  • গরম পানির সাথে অ্যাপল সিডর ভিনেগার এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • পানির সাথে ২ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। 
  • আাদা-চা বানিয়ে তার সাথে একটু মধু মিশ্রণ করে খেতে পারেন। 
  • বিভিন্ন ধরণের ভেষজ দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন।
  • প্রতিনিয়ত ভিটামিন-সি যুক্ত পুষ্টিকর খাবার খান
  • হলুদ এলার্জি কমানোর জন্য অনেক কার্যকর।এতে থাকা কারকিউমিন যৌগ যা এলার্জি কমাতে সাহায্য করে।

বাচ্চাদের এলার্জি হলে করণীয়

বেশির ভাগ এলার্জি বংশানুক্রমে হয়ে থাকে।পিতা বা মাতার যদি এলার্জি থেকে থাকে তাহলে তাদের থেকে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এলার্জি শুধুমাত্র ফুজকুড়ি হলেই বোঝা যায় না এছাড়াও ঠান্ডা লাগা, গলার মধ্যে চুলকানো ইত্যাদি এলার্জির উপসর্গ।

আরও পড়ুনঃ sleep paralysis-ঘুমের পক্ষাঘাত কি এবং কেন হয়

তাই ছোট বাচ্চাদের যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।বাচ্চাদের সবসময় শুকনা কাপড় পরিধান করাতে হবে।যদি কাপড় ভিজিয়ে ফেলে সাথে চেঞ্জ করে অন্য আরেকটি শুকনা কাপড় পরিধান করাতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।এলার্জি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
এলার্জি জাতীয় খাবারের তালিকা

এলার্জি জাতীয় খাবারের তালিকা

একজন মানুষের বিভিন্ন কারণে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন বংশগত সমস্যা এছাড়াও এলার্জি হতে পারে।তবে এলার্জি জাতীয় কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে শরীর এলার্জি বেড়ে যায়।তাই জেনে নিই কোন খাবারগুলো এলার্জি জাতীয়।
  • ডিম: ডিমে অতিরিক্ত প্রোটিন  থাকে যা এলার্জির জন্য দায়ী।অতিরিক্ত এলার্জি থাকলে ডিম এড়িয়ে চলা ভালো।
  • সবজি ও ফল: অনেক রকম সবজি এবং ফল আছে যা খেলে এলার্জি বেড়ে যায়।যেমন: বেগুন,গরম,টমেটো, কলা ইত্যাদি।
  • মাছ: মাছে খেলেও আবার এলার্জি দেখা দেয়। তবে সবাই মাছে এলার্জি নায়।কিছু কিছু মাছ আছে যা শরীরে এলার্জি বাড়িয়ে তোলে,যেমনঃ ইলিশ মাছ,স্যালমন মাছ, টুনা মাছ,ম্যাকরলে মাছ ইত্যাদি। এককথায় সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরে এলার্জি বেড়ে যায়।তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
  • শেল ফিসঃ যাদের শরীরে এলার্জি আছে তাদের শেল ফিস না খাওয়ায় উচিত।বিশ্বের প্রায় ৬০% লোক শেল ফিস খাওয়ার জনয় এলার্জি-তে ভুগছে।শেল পিস,যেমন: চিংড়ি, কাঁকড়া,শামুক ইত্যাদি।
  • ছাড়াও আরও বাদাম আছে যেমন: পেস্তা,কাজু,আখরোট ইত্যাদি বাদামগুলো এলার্জির জন্য দায়ী।

এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার ওষুধ

এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাজারে অনেক ওষুধ আছে।শরীরে এলার্জি থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করা উচিত।কারণ: সব ওষুধই শরীরের জন্য উপকারি না।বর্তমান বাজারে অনেক ওষুধ আছে যা খনেকের জন্য আপনার শরীরের এলার্জি-কে প্রশমিত করে রাখবে কিন্তু আস্তে আস্তে আপনার শরীরের ক্ষতি করবে।তাই চলুন এলার্জি কমাতে পারে এমন কিছু ডাক্তারি ওষুধ জেনে নিই।
1. হিস্টামিন: আপনি এই ওষুধ প্রাথমিক অবস্থায় খেতে পারেন।ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া।
2. ফিনাডিন ১৮০ এমজি টেবলেট ( Fenadin 180 Mg Tablet) এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।এটি আপনার আশে পাশের যে কোনো ফার্মেসীতে পেয়ে যাবেন।তবে যে কোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে ওষুধ ব্যবহার করা উত্তম।

এলার্জি প্রতিরোধের উপায়

এলার্জি কারণে মানুষর কাজ করতে সমস্যা হয়।মানুষের শরীরে এলার্জি বিভিন্ন কারনে বেড়ে যেতে পারে। যেমন: বংশগত কারণ,আবহাওয়া এছাড়াও কিছু খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এলার্জি বেড়ে যায়। তাই কিভাবে এলার্জি প্রতিরোধ করবো জেনে নিই।কথায় আছে,প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ উত্তম।

আরও পড়ুনঃ সেনার দাম,ভরি কত করে ২০২৫ জেনে নিন

তবে শীতকালীন আবহাওয়ায় এলার্জি বেশি হয় কারণ এ সময়ে বৃষ্টি বাদলা হয় না বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। এজন্য এই সময় বাসার বাইরে গেলে হাত মুখ বেঁধে বাসা থেকে বের হওয়া উচিত এবং বাসার কাজ করার সময় হাতে গ্লাভস এবং মুখ বেঁধে নেওয়া উচিত। 
এলার্জি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।এছাড়াও অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।  
এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

এলার্জি হলে তখন শরীর অনেক চুলকায়। এই চুলকানি শরীরের জন্য অসস্থিকর।তাই চলুন জেনে নিই কিভাবে এই চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন। 

১. পাঁচ মিনিটের বেশি হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন না।
২ সুগন্ধিযুক্ত,লোশন, সাবান এবং ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না।
৩. চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের নির্দেশ অনুসারে ময়শ্চারাইজ ব্যবহার করা। আগে ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে না।
৪.ত্বকের জ্বালা এড়াতে ঢিলেঢালা ফিটিং, সুতির কাপড় পরিধান করুন।
৫. বাড়িতে একটি শীতল, নিরপেক্ষ আর্দ্রতা পরিবেশ বজায় রাখা
৬. শরীরের ত্বক শুষ্ক এবং একজিমার প্রবণতা থাকলে শীতকালে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।এতে ভালো ফলাফল পাবেন।

আরও পড়ুনঃ ছোট বাচ্চাদের বাইকের দাম কত

 গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করণীয়

গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে শিশুর উপর তেমন প্রভাব ফেলে না। কিন্তু মায়ের কাছে এটি অস্থিকর লাগে।তাই চলুন কিছু টিপস জেনে নিই কিভাবে রক্ষা পেতে পারেন। 
  1. চুলকানি স্থানে ভেজা কাপড় অথবা বরফ লাগান।
  2.  অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল না করা এবং গরম পানি দিয়ে বেশি গোসল না করা।
  3. সুতি কাপড়ের ঢিলেঢালা, ফিটিং পোশাক পরা।
  4. ত্বকে চুলকানি উঠলে চুলকানো এড়িয়ে চলুন।চুলকানো বদলে বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
  5. ময়শ্চারাইজ ব্যবহার করুন।
  6. সাবান ব্যবহার না করা।

লেখকের শেষ মন্তব্য

এলার্জি রোগে ভুগছেন না এমন লোক পাওয়া যায় না বললেই চলে। বর্তমান প্রায় লোক এলার্জির সমস্যায় ভুগছেন।এলার্জি থেকে আস্তে আস্তে দেহে বড় রোগ তৈরি  হচ্ছে।তাই এলার্জি হলে একটু সাবধান তার সাথে চলাফেরা করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিফাত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url