কিভাবে SEO ফ্রেন্ডলি একটা ব্লগ পোস্ট লিখবেন জানুন

ছোট বাচ্চাদের বাইকের দাম কতব্লগিং এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো - কন্টেন্ট রাইটিং। কোন বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য আমরা কোন বই, ম্যাগাজিন অথবা অনলাইনে বিভিন্ন   ওয়েবসাইটে,   যে কোনো লেখা দেখি সেগুলোই হচ্ছে কনটেন্ট বা আর্টিকেল।

কিভাবে SEO ফ্রেন্ডলি একটা ব্লগ পোস্ট লিখবেন জানুন

তাই চলুন জেনে নিই কিভাবে একটা   SEO    ফ্রেন্ডলি     আর্টিকেল লিখতে হয়। এই আর্টিকেলে একদম ব্যাসিক থেকে শেষ পর্যন্ত তুলে ধরবো।জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়তে হবে।

পোস্টের সূচিপত্রঃ- কিভাবে SEO ফ্রেন্ডলি একটা ব্লগ পোস্ট লিখবেন জানুন

কিভাবে SEO ফ্রেন্ডলি একটা ব্লগ পোস্ট লিখবেন জানুন

কন্টেন্ট অনলাইন বা অফলাইন দুই ধরনের হয়ে থাকে। অনলাইন কন্টেন্টগুলোকে ডিজিটাল কন্টেন্ট বলা হয়। নিম্নে ডিজিটাল কন্টেন্ট গুলো তুলে ধরা হলো:-
  1. টেক্সট কন্টেন্ট (আর্টিকেল),
  2. ভিডিও কন্টেন্ট,
  3. অডিও কন্টেন্ট এবং
  4. ছবি/ ইমেজ ইত্যাদি।
আর কোনো নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে টেক্সট আকারে তথ্য বহুল কোনো লেখাকে বলা হয় আর্টিকেল রাইটিং/কন্টেন্ট রাইটিং।এগুলো সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, অথবা ব্লগে প্রকাশের জন্য লেখে।
কন্টেন্ট মূলত ব্যাপক সংখ্যক অডিয়েন্সের জন্য লেখা হয়ে থাকে। এখানে পাঠকদের মনোযোগ বা আকর্ষণ শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণেই এগুলো সাধারণত একটি আকর্ষণীয় বা বিনোদনমূলক আকারে লিখতে হয়। এবার জেনে নেওয়া যাক কিভাবে কন্টেন্ট লিখবো।

আরও পড়ুনঃ জিলহজ মাস এবং কোরবানির ফজিলত 

ব্লগিং পোস্ট লেখার নিয়ম/কন্টেন্ট লেখার নিয়ম

কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লেখার নিয়ম পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলোঃ-
  • Keyword research :  কন্টেন্ট লেখার জন্য একটা নিশ বা বিষয় বেছে নিতে হবে।নিশ বা বিষয় সিলেক্ট করার পরে Keyword research করতে হবে।এমন কিউওয়ার্ড নিয়ে লিখতে হবে যে Keyword নিয়ে অনেক কম পরিমাণে পোস্ট লেখা আছে কিন্তু সার্চ ভোলিয়াম হায় ( search volume high)। এসব কিউওয়ার্ড নিয়ে লিখলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বেশি পাবেন।এখন প্রশ্ন থাকতে পারে কিউওর্ড রিচার্চ করবো কিভাবে?নিম্নে কিছু টুলসের নাম তুলে ধরা হলোঃ-
1.Arhefs keyword research tools
2.Samrush keyword research tools
  • পোস্টের টাইটেল:  টাইটেলটি বেশি বড় করে লেখা যাবে না,পোস্টের টাইটেল ছোট আকারে এবং আর্কষণীয় ভাবে লিখতে হবে।যাতে পাঠক টাইটেল-টি দেখে আপনার আর্টিকেল পড়ে।
  • ভূমিকা: আর্টিকেল লেখার শুরুতে ভূমিকা লিখবেন।আর্টিকেল সম্পর্কে প্রথমে কিছু ইন্ট্রো (include) যোগ করুন।যা দেখে পাঠকের মনোযোগ আরও বেড়ে যায়।
  • হেডিং (Hedding) :  আর্টিকেলের মধ্যে হেডিং, সাব হেডিং, মেজোর হেডিং ইত্যাদি যোগ করতে হবে। আর আর্টিকেল এর যে বিবরণ সেগুলো প্যারাগ্রাফ আকারে রাখা ভালো।
  • বুলেট এবং পয়েন্টারের ব্যবহার: বুলেট পয়েন্টার দিয়ে আপনার আর্টিকেল কে ফুটিয়ে তুলুন যা দেখে পাঠকের পড়ার ইচ্ছা শক্তি বাড়ে।অপ্রয়োজনীয় কোনো কথা লিখে কন্টেন্ট বড় করার দরকার নাই।
  • ইমেজ( image) : আপনার আর্টিকেলের মধ্যে, আপনার আর্টিকেল সম্পর্কে একটা ছবি বা ইমেজ ব্যাবহার করুন।
  • লেখকের শেষ মন্তব্য/উপসংহার: সম্পূর্ণ কন্টেন্ট লেখার পরে পাঠকদের অনুপেরণা বাড়াতে পারে বা ঐ বিষয় সম্পর্কে পজিটিভ কিছু লিখুন, যা দেখে পাঠক আপনার অন্যান্য কন্টেন্ট পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
  • সংক্ষিপ্ত কিছু প্রশ্ন (FAQ) : আর্টিকেল লেখার শেষে কিছু আর্টিকেল সম্পর্কে ছোট প্রশ্ন যোগ করে দিবেন।প্রশ্ন গুলোর উওর ছোট করে দিবেন।

কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো

আমরা    ব্লগিং   নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক তথ্য তুলে ধরেছি।ব্লগিং শুরু করতে হলে আপনাকে একটা প্লাটফর্ম বেছে নিতে হবে।বর্তামন বেশকিছু প্লাটফর্ম আছে তাই আপনাকে চয়েস করতে হবে আপনি কোন প্লাটফর্ম নিয়ে কাজ করবেন।নিম্নে কিছু প্লাটফর্ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • ব্লগারঃ- ব্লগার হলো সর্ব প্রথম প্লাটফর্ম। বর্তমান এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।ব্লগার দিয়ে খুব সহজে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।এতে কোনো হোস্টিং কেনার প্রয়োজন পড়ে না।ব্লগারে রয়েছে নিজের ইচ্ছা মতো কাস্টম ডোমেইন সেট করার সুযোগ।এছাড়াও এটি মোবাইল দিয়ে কাজ করা যায়।এতে সহজে adssence এর মাধ্যমে মনিটাইজ করা যায়।
তবে ব্লগারে কিছু অসুবিধাও আছে।যেমনঃ থিম ডিজাইন করা কঠিন,ড্যাশবোর্ডে থাকছে ব্যাসিক কিছু ফিসার।এছাড়াও SEO করার ঝামেলা।
  • ওয়ার্ডপ্রেসঃ- ওয়ার্ডপ্রেস এর জনপ্রিয়তাও অনেক বর্তমান বিশ্বের অনেক মানুষ ওয়ার্ডপ্রেস ইউজ করে।ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারে রয়েছে অনেক সুবিধা যেমনঃ SEO করার জন্য বিভিন্ন প্লাগিনের ব্যবহার,নিজের ইচ্ছা মতো থিম কাস্টমাইজ করা যায়।
ওয়ার্ডফ্রেসের কিছু অসুবিধাও আছে, এটা ফ্রি ব্যবহার করা যায় না এবং মোবাইল দিয়ে ইউজ করা যায় না।আপনি যদি প্রফেশনালি ব্লগিং করতে চাব তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস ভালো।কিন্তু আমার সাজেস্ট,আপনি প্রথমে ব্লগার নিয়ে কাজ করুন যেহেতু এটি ফ্রি যখন ইনকাম হবে তখন ওয়ার্ডপ্রেস কিনেনিলেন।

আরও পড়ুনঃ vivo X200-pro-5G prize in Bangladesh- বাংলাদেশ প্রাইজ কত হবে জেনে নিন 

আরও প্লাটফর্ম আছে যেমন টাম্বলার তবে এগুলো খুব কম ব্যবহৃত হয়।আপনি যদি টাম্বলারের সাথে পরিচিত না থাকেন তাহলে এটি ব্যহার করতে আপনার কষ্ট হবে।

ব্লগিং ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো

আমরা    ব্লগিং    প্লাটফর্ম    সম্পের্ক ইতিমধ্যে ধারণা পেয়েছি। এখন জানবো কিভাবে সাইট তৈরি করবো? চলুন জেনে নিই।
মনে করি আপনি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তাহলে আপনাকে যে কোনো একটি ব্রাউজারে Blogger.com লিখে সার্চ দিতে হবে। তার পরে সাইন আপ করে নিতে হবে। আশা করি,আপনি সাইনআপ করতে পারবেন।সাইনআপ করার পরে আপনার সাইটে একটা থিম কাস্টমাইজ করতে হবে।আপনি বিভিন্ন সাইট থেকে ফ্রী এবং পেইড ভার্সনের থিম পেয় যাবেন।এই থিম আপনার মনের মতো করে সাজাইবেন। আপনি যেমন পাঠকদের কাছে দেখাতে চাচ্ছেন।এভাবে আপনি খুব সহজে সাইট-টি তৈরি করে নিতে পারেন।

ব্লগিং এর প্রকারভেদ

ব্লগিং কত প্রকার? জানা জরুরি কারণ আপনি কোন প্রকারের কাজ করার জন্য   ব্লগিং   ওয়েবসাইট   তৈরি করবেন এটা যদি না ঠিক করেন বা জানেন তাহলে আপনি কি পাবলিশ করবেন? এজন্য ব্লগের প্রকারভেদ জানা প্রযোজন। চলুন জেনে নিই।
  1. ব্যাক্তিগত ব্লগ:- ব্যাক্তিগত ব্লগ নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা কোনো ব্যাক্তির জীবনি সম্পর্কে লেখা।
  2. ব্যবসায়িক ব্লগ:- এটা হলো কোনো ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট বা কর্পোরেট ব্লগ সাইটও বলা হয়।ব্যবসায়িক সাইট হলো একধরনের মার্কেটিং সিস্টেম যার মাধ্যমে তারা ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ এবং সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে।
  3. নিশ ব্লগ:- নিশ ব্লগ বলতে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে বোঝায়।যে বিষয়ে আপনি ভালো বুঝেন এবং দক্ষ এমন বিষয় নিয়ে লেখা।নিশ ব্লগের মাধ্যমে দ্রুত সফল হওয়া যায়।
  4. নিউজ ব্লগ:- নিউজ ব্লগ একটু ঝামেলা যুক্ত এবং একটি নিউজ সাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হয়।যা করণে একটা বিশাল টিম গঠনের প্রযোজন এবং অনেক ব্যায়বহুল।
  5. অ্যাফিলিয়েট ব্লগ:- এটি হলো অন্য কারোও পণ্য বিক্রি করার জন্য তৈরি সাইট।আপনার সাইট থেকে পণ্য বিক্রি করার কারণে আপনি কিছু কমিশন পেয়ে থাকবেন।
  6. রিভিউ ব্লগ:- কোনো পণ্য যেমনঃ বই, পোশাক, সিনেমা ইত্যাদি নিয়ে পর্যালোচনা করা এছাড়াও বিভিন্ন হোটেল বা রেসট্রুরেন্ট নিয়ে রিভিউ করাকে বোঝায়।এছাড়া আর অনেক ব্লগ আছে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মনের ব্লগার হতে চান তাহলে উপরের টিপস গুলো ফলো করে কন্টেন্ট পাবলিশ করলে ইনশাআল্লাহ সফল হতে পারবেন।তবে একটা কথা মনে রাখতে হতে   ব্লগিং   করতে হলে ধৈর্য ধরে প্রতিনিয়ত পোস্ট করে যেতে হবে।আশা করি,এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে সাহায্য করতে পেরেছি। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিফাত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url