বিকাশ একাউন্ট ব্লক হওয়ার কারণ ও খোলার সহজ উপায় জেনে নিন
পড়াশোনায় সফল হওয়ার আধুনিক কৌশলবিকাশ একাউন্ট ব্লক হওয়ার কারণ ও খোলার সহজ উপায় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।বাংলাদেশে অনেক মানুষ বিকাশ ব্যবহার করে থাকেন।আর মাঝে মধ্যে বিকাশ একাউন্টে বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা দেখায় দেয়।যেমন: বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে যাওয়া।
আপনিও যদি লেনদেনের ক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট ব্যাবহার করে থাকেন আর আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেল টি পড়ুন।আজকের আর্টিকেলে বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার উপায় জানানোর পাশাপাশি বিকাশ একাউন্ট ব্লক কেন হয়? এবং বিকাশ পিন রিসেট করার নিয়ম ইত্যাদি তুলে ধরবো।জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্র: বিকাশ একাউন্ট ব্লক হওয়ার কারণ ও খোলার সহজ উপায় জেনে নিন
বিকাশ একাউন্ট ব্লক হওয়ার কারণ ও খোলার সহজ উপায় জেনে নিন
বিকাশ একাউন্ট ব্লক হলে কোনোরকম টাকা ট্রানজেকশন করা যায় না।ফোনের ডায়াল প্যাড ব্যবহার করুন আর সরাসরি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করুন।কোনো ভাবেই বিকাশ থেকে টাকা ট্রানজেকশন করতে পারবেন না।
বিকাশ থেকে টাকা ট্রানজেকশনের জন্য আগে আপনার একাউন্টের ব্লক খুলতে হবে।তাই নিম্নে থেকে বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার নিয়ম জেনে নিন।
বিকাশ একাউন্ট ব্লক খােলার সহজ উপায়
বিকাশ একাউন্টের ব্লক আপনি বাড়িতে বসেই খুলে নিতে পারবেন। বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কথা বলে খুলে নিতে পারবেন।তবে,ব্লক খোলার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম জানতে হবে।নিম্নে বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার উপায় তুলে ধরা হলোঃ-
- সর্বপ্রথম আপনাকে বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার (১৬২৪৭) কল করতে হবে।আপনি যে কোনো প্রকারের সিম থেকে এই নাম্বারে কল করতে পারবেন।
- বিকাশ কাস্টমার কেয়ার থেকে তখন আপনার সব সমস্যার জানতে চাইবে।তখন আপনার সমস্যাগুলো তাদের সাথে শেয়ার করুন।
- আপনার সমস্যাগুলো শোনার পরে তারা,বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার কিছু ব্যাক্তিগত ডকুমেন্টস সাবমিট করতে বলবে।যেমন:আপনার পিতার নাম,মাতার নাম,জন্ম তারিখ,NID Card ইত্যাদি।এগুলো সব সঠিকভাবে দিবেন।ভুল তথ্য দিলে ব্লক কিন্তু খোলবে না।
- এছাড়াও,আপনার কাছে আরও তথ্য জানতে চাইতে পারে।যেমন:শেষ কত তারিখে আপনি বিকাশে লেনদেন করেছিলেন।
- এগুলো তথ্য ভালোভাবে সাবমিট করার পরে তারা যাচাই করে দেখবে।যদি সবকিছু ঠিক ঠাক থাকে তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট ঠিক করে দিবে।
আপনি চাইলে এভাবে ঘরে বসে হেল্পলাইন নাম্বারের মাধ্যমে আপনার ব্লক হওয়া একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন।তবে,আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্লকটি যদি জটিল হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে ঠিক করতে হবে।আর,মনে রাখবেন যদি বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে ঠিক করতে চান,সেক্ষেত্রে সাথে প্রয়োজনীয় কাজগুলো নিয়ে যাবেন।যেমন:NID Card,birth certificate ইত্যাদি।সাধারণত, বিকাশ একাউন্ট ব্লক হলে আপনি ঘরে বসেই কাস্টমার কেয়ার কেয়ারে কল কর উপরিউক্ত নিয়ম মেনে কাজ করলে ব্লক খোলা সম্ভব।
বিকাশ একাউন্ট ব্লক হওয়ার কারণ
সাধারণত, বিকাশ ব্যবহার করার সময় আমরা বেশ কয়েকটি ভুল করে থাকি যার করণে আমাদের একাউন্টটি বিকাশ কতৃপক্ষ ব্লক করে দেয়।তাই, আমাদের একাউন্ট আর, যাতে ব্লক না হয় সেজন্য বিকাশ একাউন্ট ব্লক হওয়ার কারণগুলো জানা জরুরি।নিম্নে বিকাশ একাউন্ট ব্লক হওয়ার কারণগুলো তুলে ধরা হলোঃ
- ভুল পিন নাম্বার দিয়ে বার বার লগইন করার চেষ্টা কর- বিকাশ একাউন্ট লগইন করার সময় যদি বার বার ভুল পিন নাম্বার দেন তাহলে একাউন্ট ব্লক হয়ে যায়।আপনার বিকাশ পিন যদি মনে না থাকে ক্ষেত্রে আপনার পরিচয় পত্র দিয়ে খুব সহজে পিন রিসেট করে নিতে পারবেন।
- একাধিক বিকাশ একাউন্ট খোলা-আমরা জানি একটা NID কার্ড দিয়ে একটাই বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।তবে,অনেকের কাছেই এখন স্মার্টকার্ড এবং লিমিনেটিং আইডি কার্ড নামে এই দুই ধরণের কার্ড রয়েছে।কোনো ব্যাক্তি যদি লিমিনেটিং আইডি কার্ড ব্যবহার করে একাধিক বিকাশ একাউন্ট ক্রিয়েট করে তাহলে তার একাউন্ট ব্লক হয়ে যাবে।
- দীর্ঘ দিন বিকাশ একাউন্ট থেকে লেনদেন না করলে- আমরা অনেকেই বিকাশ খুলে সব সময় লেনদেন করি না।অনেক দিন ধরে সে একাউন্ট পড়ে থাকে,যার কারণে বিকাশ কতৃপক্ষ একাউন্ট ব্লক করে দেয়।
- অস্বাভাবিক মোবাইল রিচার্জ- অস্বাভাবিকভাবে যদি রিচার্জ করেন সেক্ষেত্রে আপনার একাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে।যেমন:একই নাম্বারে বার বার টাকা পাঠানো,বা রিচার্জ করা।এজন্য বিকাশ ব্যবহারে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।একই কাজ বার বার করা যাবে না।
- বিকাশ নাম্বার চেঞ্জ করলে- আপনি যদি আপনার বিকাশ নাম্বার চেঞ্জ করে ফেলেন সেক্ষেত্রে একাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে।তবে চিন্তার কোনো কারণ নাই।বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কল করে বললে তারা সমস্যা সমাধান করে দেয়।
এজন্য,বিকাশ ব্যবহার করার সময়,আপনার একাউন্ট ব্লক হয় এমন কোনো কাজ করবেন না।পিন ভুলে গেলে পিন রিসেট করে নিন,বার বার ভুল পিন দিয়ে বিকাশ একাউন্টে প্রবেশ করার চেষ্টা করবেন না।
বিকাশ পিন রিসেট করার নিয়ম।কিভাবে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন রিসেট করবেন
বিকাশ পিন ভুলে গেলে রিসেট করার প্রয়োজন পড়ে।আপনার কাছে যদি স্মার্টফোন থেকে থাকে তাহলে খুব সহজেই কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনার বিকাশের পিন রিসেট করতে পারবেন।নিম্নে বিকাশ পিন রিসেট করার নিয়ম তুলে ধরা হলোঃ-
- প্রথমে আপনার বিকাশ অ্যাপ লগইন করলেই। পিন যে জায়গায় লেখা উঠে সে জায়গার নিচে দেখবেন Forgot pin? Try Pin Reset নামে একটা লেখা তার উপর ক্লিক করুন।না,উপরের ছবিটি ফলো করুন।
- পরবর্তীতে আপনাকে আপনার ফেঁস ফেরিফাই করতে বলবে।ফেঁস ভেরিফাই হতে একটু সময় লাগতে পারে।তারপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য দিতে বলবে।
- সব তথ্য ঠিকভাবে সাবমিট করার পরে আপনাকে একটা ভেরিভিকেশন কোড দিবে।অর্থাৎ,বিকাশ থেকে আপনাকে একটা পিন কোড দিবে সেই পিন টা বসান।
- বিকাশ থেকে দেওয়া পিন বসানোর পরে আপনাকে নতুন করে ৫ সংখ্যা যুক্ত পিন সেট করতে বলা হবে।আপনার পছন্দ মতো পিন ব্যবহার করে কনফার্ম করুন।
- নতুন পিন কনফার্ম করা হলে, এখন আপনার বিকাশ একাউন্টে,নতুন সেট করা পিন দিয়ে প্রবেশ করুন।
বিকাশ কাস্টমার কেয়ার চ্যাট করার উপায়
আপনার বিকাশ অ্যাপে কোনো প্রকার সমস্যা হলে,বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কথা বলে সরাসরি আপনার সমস্যার কথা শেয়ার করে, সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন।
লাইভ চ্যাট করার জন্য প্রথমে আপনার বিকাশ একাউন্টে প্রবেশ করুন।এবং মেনুবারে ক্লিক করুন।না,বুঝতে পারলে উপরের চিত্রটি ফলো করুন।
মেনুতে ক্লিক করার পরে Support অপশনে ক্লিক করুন।উপরের চিত্র টি ফলো করুন আরও,ক্লিয়ার হয়ে যাবেন।
Support অপশনে ক্লিক করলে লাইভ Live Chat এবং Email দুই টি অপশন পাবেন।চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলতে চাইলে লাইভ চ্যাটে ক্লিক করুন আর ইমেইলে কথা বলতে চাইলে Email সিলেক্ট করুন।Live Chat ক্লিক করলে আপনাকে ভাষা সিলেক্ট করতে বলবে আপনি যে ভাষায় কথা বলবেন সিলেক্ট করে নিবেন।মূলত বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারবেন।আপনি ভাষা সিলেক্ট করে নিবেন এবং মেসেজে কথা বলতে পারবেন।উপরের চিত্র ফলো করুন তাহলে,আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার
আপনার বিকাশ একাউন্টের যে কোনো প্রকার সমস্যা সমাধান এবং বিকাশ সংক্রান্ত কিছু জানার থাকলে সরাসরি বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কল করুন।সরাসরি তাদের সাথে কথা বলে আপনার সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন।বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কল করার জন্য ২ টি নাম্বার রয়েছে। আপনি যেকোনো একটি নাম্বার কল করতে পারেন এবং যে কোনো প্রকার সিম থেকে কল করতে পারবেন।বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার: ১৬২৪৭ এবং ০২-৫৫৬৬৩০০১।
বিকাশ একাউন্ট লক হওয়ার আগে সতর্কর্তা
বিকাশ একাউন্ট যাতে লক না হয় সেজন্য সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।বিকাশ একাউন্ট মূলত ব্লক হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই,ভুল পাসওয়ার্ড এবং অনেকদিন ব্যবহার না করার কারণে।বিকাশ একাউন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই পাসওয়ার্ড মনে রাখবেন।যদি আপনার বিকাশের পিন মনে রাখতে না পারেন,সেক্ষেত্রে ব্যাক্তগতভাবে কোনো জায়গায় লিখে রাখুন।
তারপরেও,যদি পাসওয়ার্ড ভুলে যান,সেক্ষেত্রে ভুল পিন দিয়ে বিকাশ লগইন করার চেষ্টা না করে,পিন রিসেট করুন।ভুল পিন দিয়ে বারবার চেষ্টা করলে আপনার একাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে।আর পিন রিসেট করার সময় আপনার বিশস্ত লোকের সহায়তা নিন।কারণ:বিকাশ পিন রিসেট করে আপনার বিকাশ থেকে টাকা সে ট্রান্সফার করে নিতে পারে।এজন্য বিকাশ পিন কেনো সময় ভুল লোকের সাথে শেয়ার করবেন না।
শেষ মন্তব্য
আমরা আজকের আর্টিকেলে বিকাশ একাউন্ট ব্লক হওয়ার কারণ ও খোলার সহজ উপায়- ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।আশা করি,বুঝতে পারছেন কিভাবে আপনার ব্লক হওয়া বিকাশ একাউন্ট ঠিক করবেন।এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আর্টিকেল টি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং প্রতিদিন এমন সব অজানা বিষয় জানতে আমাদের সাইটে ভিজিট করুন।
রিফাত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url