ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় – সম্পূর্ণ গাইড

দক্ষতা ছাড়াই অনলাইন ইনকামের সহজ টেকনিকব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় – সম্পূর্ণ গাইড।আপনার যদি কোনও ব্লগ ওয়েবসাইট থাকে বা ব্লগিংয়ের মতো,এইরকম কিছু করার কথা ভাবছেন? তাহলে আজকের পোস্ট-টি আপনার জন্য। আজকের পোস্ট থেকে ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় – সম্পূর্ণ গাইড। শুরু থেকে এক্সপার্ট পর্যন্ত ব্লগকে বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজ করে ইনকাম করা যেতে পারে।

ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় – সম্পূর্ণ গাইড
মনিটাইজেশন মানে কি? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে থেকে যায়।মনিটাইজেশন মানে আপনার ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা।ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্ট-টি পড়ুন।

সূচিপত্রঃ-ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় – সম্পূর্ণ গাইড

ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় – সম্পূর্ণ গাইড

আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট বিভিন্নভাবে কাজ করার মাধ্যমে মনিটাইজ করতে পারেন এছাড়াও বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে ইনকাম করতে পারবেন। নিম্নে কিছু উপায় তুলে ধরা হলোঃ-
  • বিজ্ঞাপন
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • সরাসরি বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্টের অফার
  • সাবস্ক্রিপশন

আপনি কিভাবে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে এগুলো করতে পারেন।সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

  • বিজ্ঞাপনঃ আপনি একজন ব্লগের প্রশাসক হিসেবে,আপনি আপনার কন্টেন্ট এর মধ্যে বিজ্ঞাপন যোগ করে অর্থ আয় করতে পারবেন।বিজ্ঞানপনদাতা আপনার অডিয়েন্স উপর টাকা পেমেন্ট করতে ইচ্ছুক।আপনার ওয়েবসাইট যত বেশি জনপ্রিয় আপনি ততো বেশি ইনকাম করতে পারবেন। কোনো ব্যবহারকারি যখন কোনো বিজ্ঞাপন দেখেন তখন বিজ্ঞাপনদাতা/adsense আপনার পেমেন্ট করে থাকে।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংকি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো: অন্য কোনো সাইটের কোনো প্রডাক্ট বিক্রি করে অর্থ আয় করা।আপনার নিজের সাইটে যখন অন্য সাইটের প্রডাক্টের লিংক এড করে রাখবেন।তখন কোনো ব্যবহারকারী যদি ঐ লিংকে ক্লিক করে অ্যাফিলিয়েট পেজে গিয়ে প্রডাক্ট-টি ক্রয় করে তখন আপনি ঐ প্রডাক্টের উপর কমিশন পাবেন।এভাবে এখান থেকে লাইফ টাইম ইনকাম করার সুযোগ থাকে।
  • সরাসরি বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্টের অফারঃ বর্তামান অনেকেই প্রডাক্ট বিক্রি করার জন্য ব্লগের মাধ্যমে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করার চেষ্টা করছেন।আপনার প্রডাক্ট ফিজিক্স্যাল বা ডিজিটাল হতে পারে।তবে আপনাকে প্রডাক্টে বিক্রি করার জন্য পেমেন্ট পদ্ধতি সেট করতে হয়।ফিজিক্যালি প্রডাক্ট বিক্রি করার জন্য আপনাকে যে বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তার হলো: স্টক-স্টোর, শ্লক মেনেজ করা,শিপিং অরগানাইজ করা। আর ডিজিটাল প্রডাক্টে ডেলিভারি করার ঝামেলা থাকে।
  • সাবস্ক্রিপশনঃ আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে যদি কোনো একটিভ মেম্বারশিপ থেকে থাকে যারা আপনার ব্লগ সম্পর্কে আরও জানতে চাই,তাহলে আপনি পেইড সিস্টেম বা সাবক্রিপশন চালু করতে পারেন। এভাবে ব্যবসা করতে পারেন।সাপ্তাহিক, মাসিক বা বার্ষিক সাবক্রিপশন চালু রাখে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং ক্যারিয়ার

ব্লগিং এর ক্যারিয়ার সমন্ধে জানতে হলে প্রথমেই জানতে হবে ব্লগিং জিনিষটা আসলে কি? সহজ ভাষায় ব্লগিং বলতে অনলাইনের পাতায় নিজের নানা ধরনের মতামতকে তুলে শেয়ার করা। সাধারণ অর্থে এই ব্লগের মাধ্যমে মনের অনেক কথাকে তুলে ধরা যায় অনলাইনের অগনিত পাঠকদের কাছে। এই কারনে লেখালেখির মজাটা বেশ জমে উঠে। বাংলা ভাষায় ব্লগ শুরু হওয়ার পর থেকে বাঙ্গালীদের কাছে ব্লগ বিষয়টি অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

কেমন হবে ব্লগিং ক্যারিয়ার : ব্লগের ক্যারিয়ারের সঙ্গে জড়িত আছে যে বিষয় তা হলো : লেখালেখির বিষয়টি। তবে সবচেয়ে   গুরুত্বপূর্ণ   বিষয়টি   হলো   মনের   ভাব শেয়ার করার ইচ্ছে। যে যত ভালো করে পাঠকদের সামনে কোন বিষয় তুলে ধরতে পারবে সে ততো ভালো ব্লগিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারবে।এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে পাঠক পড়ে ভালো ভাবে বুঝতে পারে। সুতরাং ব্লগে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে লেখালেখির পাশাপাশি মনের ভাব আদান প্রদান করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তাহলেই ব্লগে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।

নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা : ব্লগিংয়ে কি ধরণের সুযোগ সুবিধা আছে তা উপরে তুলে ধরা হয়েছে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং এটা শুনে অনেকেই অবাক হতে পারেন কারণ অনেক লোক জানে না যে মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল মনের ব্লগিং করা যায়।সবাই জানে ব্লগিং করতে হলে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার প্রয়োজন।কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।তাই চলুন জেনে নিই কিভাবে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করবেন।

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করতে হলে সর্বপ্রথম প্রয়োজন একটি ব্রাউজার।যার মাধ্যমে আপনার ব্লগসাইট তৈরি করবেন এবং সম্পূর্ণ পরিচালনা করতে পারবেন।ব্লসাইটকে আপনার মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে পারবেন।তার পর আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন বিষয়ের উপর লিখবেন এবং প্রতিনিয়ত আপনার সাইটে ব্লগ পোস্ট করতে থাকবেন।

ব্লগিং এর ইতিহাস

১৯৯৭ এর ১৭ ডিসেম্বর Jorn Barger(জন বার্জার) নামক এক ব্যাক্তি সর্বপ্রথম WEBLOG শব্দটির উদ্ভাবন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৯ এর এপ্রিল বা মার্চের দিকে Peter Merholz (পিটার মারহোলোজ) যিনি তার নিজস্ব ব্লগ Peterme.com- এ একরকম মজা করেই WEBLOG শব্দটিকে ভাগ করে BLOG বলে সম্বোধন করেন। তারপর থেকে BLOG শব্দটির জনপ্রিয়তা বেড়ে যেতে থাকে। Evan Williams (ইভান উইলিয়াম) নামক এক ব্যাক্তি BLOG শব্দটিকে যথাক্রমে বিশেষ্য ও ক্রিয়াপদ দুই ভাবেই কাজে লাগান। তিনিই Blogger কথাটির উদ্ভাবন করেন।)

ব্লগিং- এর জনপ্রিয়তার পূর্বে ডিজিটাল কমিউনিটি বা অনলাইন যোগাযোগ এর অন্যান্য জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো ছিলো যেমনঃ Usenet, GEnie, BiX, CompuServe, এবং BBS, ইত্যাদি। তখনকার জন্য এগুলো জনপ্রিয় হলেও এগুলোর সাহায্যে খুব কষ্ট করেই Running conversation- এর কাজগুলো করা হতো। কিন্তু বর্তমান আধুনিক ব্লগিং সুবিধায় মানুষ এখন খুব সহজেই সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে। ব্লগিং মানুষকে দেয় তার নিজস্ব একটি পরিচয় গঠনের সুযোগ। যারা ব্লগিং করে, তাদেরকে বলা হয় ব্লগার। ব্লগাররা  সাধারনত  নিজেদেরকে  Diarists  বা  Journalers  ও বলা  যায়। 

১৯৯৪ সালে Justin Hall ( জাস্টিন হল) যিনি পার্সোনাল ব্লগিং শুরু করেছিলেন। তখন তিনি Swarthmore College-এ পড়তেন। তাকে ধরা হয় ব্লগিং-এর ইতিহাসের সবচেয়ে পুরনো ব্লগার। সেসময়ের চলমান কিছু জনপ্রিয় ব্লগের মধ্যে Jerry Pournelle এবং Dave Winer's এর পার্সোনাল ব্লগ ছিলো অন্যতম। এগুলো ছিলো সবচেয়ে পুরনো এবং দীর্ঘসময় ধরে চলা জনপ্রিয় ব্লগ। ব্লগিং এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে এর চাহিদাও বেড়ে যেতে থাকে। এতে যোগ হয় বিভিন্নরকম প্রযুক্তি। তার বদৌলতে বর্তমানের ব্লগসাইটগুলো মেইনটেইন করার জন্য ব্রাউজার ভিত্তিক কিছু সফটওয়্যার ব্যাবহার করা হয় যা সাইটগুলোকে মেইনটেইন করার কাজ করে।

১৯৯৯ থেকে ব্লগিং- এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং তা এখনও রয়েছে। Bruce Ableson (ব্রুজ এ্যাবলছন) নামক এক ব্যাক্তি ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ওপেন ডায়েরি নামক একটি ব্লগ খোলেন এবং রাতারাতি তার ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। হাজার হাজার ব্লগার তার ব্লগের সাথে যুক্ত হন এবং এটিই সর্বপ্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে অন্যান্য ব্লগারদের লেখায় মন্তব্য করার সুযোগ দেয়া হয়।

এছাড়াও Evan Williams ( ইভান উইলিয়াম) এবং Meg Hourihan ( মেঘ হোউরিযান) যারা Pyra Labs-এ কাজ করতেন, ১৯৯৯ সালে তারা চালু করেন তাদের নিজস্ব ব্লগ সাইট "blogger.com" যা ২০০৩ এর ফেব্রুয়ারিতে Google কিনে নেয়।

ব্লগিং করে আয় – শেষ মন্তব্য

আমি ব্লগিং সম্পর্কে যতটা জানি আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি এই পোস্টের মাধ্যমে।আপনি যদি পোস্ট-টি মনোযোগ দিয়ে পড়েন আশা করি বুঝতে পারবেন। ব্লগিং করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন ধৈর্যের।এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।আসসালামু ওয়ালাইকুম।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিফাত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url