নতুন আপডেট ,লাল পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে জেনে নিন

WiFi তারের দাম কত?আসসালামু ওয়ালাইকুম,লাল পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে? অনেকেরই মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায় লাল পাসপোর্ট কেন করে? লাল  পাসপোর্ট  কারা করতে পারে এবং কি কি লাগে? এখন আপনার মনেও যদি এসব প্রশ্ন থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেল-টি আপনার জন্য তাই চলুন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিষয়টি ক্লিয়ার করে নিই।

বর্তমান পাসপোর্ট ছাড়া কেউ কোনো দেশে ভ্রমণ বা কাজ হোক যেতে পারে না।তাই কোনো দেশে যেতে হলে পাসপোর্ট প্রযোজন।বাংলাদেশে বেশ কয়েক রকমের পাসপোর্ট আছে।কিন্তু আজকে আমরা সব পাসপোর্ট নিয়ে কথা বলবো না।আজকে আমরা লাল পাসপোর্ট নিয়ে কথা বলবো। জানতে হলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন।

পোস্টের সূচিপত্রঃ-নতুন আপডেট ,লাল পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

নতুন আপডেট,লাল পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

আপনার মন চাইলেই আপনি  লাল  পাসপোর্ট  করতে পারবেন না।লাল করতে চাইলে আপনার যগ্যতা থাকতে হবে।লাল পাসপোর্ট করতে পারে মূলত সরকারি চাকুরির উচ্চ পদমর্যাদার লোকজন এবং সরকারের অতি ঘনিষ্ঠ লোক।নিম্নে লাল পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে তুলে ধরা হলোঃ-

• নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস

1. সরকারি চাকরির প্রমাণপত্র।
2. অনুমোদন কতৃপক্ষের চিঠি।
3. পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
4. জন্ম নিবন্ধন কাগজ।

• আবেদন প্রকিয়া

লাল পাসপোর্ট আবেদন প্রথমে অনলাইনে করা যায়।তবে নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস গুলো পাসপোর্ট অফিসে বা সংশিলষ্ঠ মন্ত্রনালয়ে গিয়ে জমা দিতে হয়।

• সময় এবং ফি

অন্যান্য পাসপোর্টের তুলনায় লাল পাসপোর্ট করতে সময় এবং টাকার পরিমাণ ২ টাই কম লাগে।
লাল পাসপোর্ট করার জন্য কোথাও নিদিষ্ট কোনো ডকুমেন্টস এর কথা ঐ ভাবে বলা নায়।তবে প্রেক্ষাপট হিসেবে ডকুমেন্টসের অমিল দেখা যেতে পারে।

লাল পাসপোর্ট কারা করতে পারবে

লাল  পাসপোর্ট  সবার জন্য না।যে কেউ মন চাইলেই লাল পাসপোর্ট করতে পারবে না।লাল পাসপোর্ট করতে হলে আপনাকে লাল পাসপোর্ট করার যগ্যতা থাকতে হবে।
লাল পাসপোর্ট করতে পারে মূলত সরকারি চাকুরিজীবি,রাজনীতিবিদ, উচ্চ পদমর্যাদার লোকজন এবং সরকারের অতি ঘনিষ্ঠ লোক।লাল  পাসপোর্ট  করতে সময় এবং টাকার পরিমাণও কমে লাগে।এছাড়াও তারা লাল পাসপোর্টের কারণে বিশেষ ধরণের সুবিধা পেয়ে থাকে।

একজন সাধারণ মানুষ কি লাল পাসপোর্ট করতে পারবে

আগেই বলে দিই একজন সাধারণ মানুষ কখনোই লাল পাসপোর্ট করতে পারবে না।লাল পাসপোর্ট হলো অন-এ্যারাইভাল পাসপোর্ট।এই পাসপোর্টের জন্য কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না।ভিসা ছাড়াই তারা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতে পারে।
সাধারণ,মানুষ সবুজ রঙ্গের পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবে।এছাড়াও আরও পাসপোর্ট আছে।যথা: নীল।সাধারণ মানুষ সবুজ এবং নীল পাসপোর্ট দিয়ে ভ্রমণ বা কাজ বা শিক্ষার জন্য কোনো দেশে যেতে পারে না।তাদের জন্য ভিসার প্রয়োজন।

ই-পাসপোর্ট পাসপোর্টের সুবিধা

উন্নত পাসপোর্ট ব্যবস্থার নামই হচ্ছে ই-পাসপোর্ট। ই-পাসপোর্টের অন্যতম সুবিধা হলো সুরক্ষা ব্যবস্থা।ই-পাসপোর্ট মাধ্যমে পাসপোর্ট ব্যবহারকরীর সকল তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়।যেমনঃ- নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি ভালোভাবে সুরক্ষিত রাখা হয় এবং ব্যাক্তি সনাক্তকরণে কোনো ধরণের বেগ পেতে হয় না।

ই-পাসপোর্টের অসুবিধা

ই-পাসপোর্টের তেমন কোনো অসুবিধা নাই।এর সবকিছু ভালো দিক রয়েছে।তবে আবেদন কারির ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা থাকতে পারে।আবেদন কারী যদি ঠিক ভাবে না জানে, যে পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ জমা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কিছুটা ঝামেলার সম্মুখিন হতে হয়।পাসপোর্ট আবেদন করার সময় সঠিক তথ্য সাবমিট করবেন।তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।

লেখকের শেষ মন্তব্য

পাসপোর্টের   আবেদন    করার সময় সঠিক তথ্য সাবমিট করুন।আমরা এই পোস্টের মধ্য লাল পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে, কারা লাল পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবে এবং লাল পাসপোর্টের সুবিধা ইত্যাদি বিষয় গুলো তুলে ধরেছি।আপনি যদি আর্টিকেল-টি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আশা করি,আর্টিকেল-টি পড়ে আপনি বুঝতে পারছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।