উচ্চ রক্তচাপ: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার জানুন

চুলের যত্নে পেঁয়াজউচ্চ রক্তচাপ বা  হাই ব্লাড  প্রেশার  একটি  মারাত্নক  রোগ। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে,কেনো বড় ধরে বিপদও ঘটে যেতে পারে।তাই আজকের পোস্ট থেকে উচ্চ রক্তচাপ: কারণ,  লক্ষণ  ও  প্রতিকার  জানুন।

উচ্চ রক্তচাপ: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার জানুন
উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেসার) একটি সাধারণ কিন্তু মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। এই ব্লগে জানুন নিয়মিত জীবনযাপন, সুষম খাদ্য, ব্যায়াম এবং ডাক্তারের  পরামর্শ কিভাবে  আপনাকে  উচ্চ রক্তচাপ  থেকে  সুস্থ  রাখতে  পারে  তা এখানে  আলোচনা  করা  হয়েছে। স্বাস্থ্য  সচেতন  পাঠকদের জন্য  এটি  হবে  একটি  নির্ভরযোগ্য  গাইড।

সূচিপত্রঃ উচ্চ রক্তচাপ: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার জানুন

উচ্চ রক্তচাপ: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার জানুন

উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার একটি নীরব ঘাতক রোগ। সময়ের আগে  সঠিক  যত্ন  না  নিলে  এটি  হৃদরোগ  ও  স্ট্রোকের  মতো  রোগের  ঝুঁকি  বাড়ায়।অতিরিক্ত লবণ, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত জীবনযাপন এর মূল কারণ। লক্ষণগুলোর মধ্যে মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা ও ক্লান্তি উল্লেখযোগ্য। সুস্থ জীবনযাপন, নিয়মিত ব্যায়াম ও সুষম খাদ্য গ্রহণ এ রোগের প্রধান প্রতিকার। সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এ জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

রক্তচাপ কাকে বলে

রক্তচাপ হলো- মানুষের  শরীরে  রক্ত  প্রবাহের  চাপ।অর্থাৎ, হৃদপিণ্ড রক্ত পাম্প করার সময় ধমনীর দেওয়ালে একধরণের চাপ সৃষ্টি করে। সহজভাবে বললে, রক্ত  শরীরের বিভিন্ন  অঙ্গে  পৌঁছানোর   সময়  ধমনীর   দেয়ালে   যে   চাপ   তৈরি   হয়,  সেটাই   রক্তচাপ।

রক্তচাপের  দুটি  মান  থাকে –

  1. সিস্টোলিক চাপ (উপরের মান): হৃদপিণ্ড যখন রক্ত পাম্প করে, তখন যে চাপ হয়।
  2. ডায়াস্টোলিক চাপ (নিচের মান): হৃদপিণ্ড যখন বিশ্রামে থাকে, তখন যে চাপ হয়।
সাধারণভাবে স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০/৮০ mmHg এর মতো।

উচ্চ রক্তচাপের কারণ

আপনার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড  প্রেশার  হওয়ার  কারণ নির্দিষ্ট  করে  বলা  সম্ভব  না।তবে, বেশ কিছু কারণ রয়েছে যার ফলে রক্তচাপ সৃষ্টি হতে পারে।নিম্নে উচ্চ রক্তচাপের কারণ তুলে ধরা হলোঃ-

  • শরীরের ওজন- বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিক ওজন থেকে অতিরিক্ত ওজন হওয়া।এজন্য শরীরের ওজন স্বাভাবিক রাখতে হবে।বেশি ওজন উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।
  • লবণ- খাবারের সাথে অতিরিক্ত কাচা লবণ খাওয়া।বেশি লবণ স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর তাই লবণ কম খেতে হবে।চাইলে লবণ ভেজে খেতে পারেন।
  • ক্যাফেইন জাতীয় খাবার- অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।যেমন: চাই,কফি,কোমল পানীয় ইত্যাদি।
  • নেশা জাতীয় দ্রব্য পান - নেশা করা উচ্চ রক্তচাপের জন্য প্রধান ভুমিকা রাখে।তাই নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করা যাবে না।শুধুমাত্র উচ্চ রক্তচাপ নয়,যে কোনো রোগের জন্য ক্ষতিকর।এজন্য মদ, বিড়ি সিগারেট,ইয়াবা ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • অলস জীবন যাপন- অলস জীবন যাপন করলে নানাবিধ চিন্তা ভাবনা নিজের মধ্যে ভর করে যার ফলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।তাই পরিশ্রমি হতে হবে।
  • কম ঘুমানো- টানাকয়েকদিন যদি ৭-৮ ঘন্টা ঘুম না দেওয়া।সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম দেওয়া অবশ্যাক।
  • বংশগত সমস্যা- বংশে বা গোষ্ঠীর মধ্যে যদি কারোর উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা থাকে তাহলে আপনারও এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • বয়স বেশি- মানুষের বয়স বেশি হলে এ বিভিন্ন ধরণের সমস্যা হয়।সাধারণত (৬০-৬৫) বছরের ব্যাক্তিদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি লক্ষ করা যায়।
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ – স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা ও টেনশন রক্তচাপ হঠাৎ বাড়িয়ে তোলে।তাই সবসময় চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
  • অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস- অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।
  • কিডনি ও হরমোনজনিত সমস্যা – আপনার যদি কিডনি ও হরমোনজনিত সমস্যা থাকে তাহলে, এগুলোও উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ/উপসর্গ

উচ্চ রক্তচাপ কে অনেক সময় “নীরব ঘাতক” বলা হয়, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ রোগের কোনো স্পষ্ট লক্ষণ বোঝা যায় না। তবে রক্তচাপ  খুব  বেশি  বেড়ে  গেলে শারীরিক  ও  মানসিক  সাধারণ  কিছু  লক্ষণ  দেখা  দিতে পারে  তা  নিম্নে  তুলে  ধরা  হলোঃ-

  • মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরা বা ভার লাগা এমন উপসর্গ বেশি দেখা দেয়।
  • শ্বাসকষ্ট হওয়া এমনকি চোখে ঝাপসা দেখা।
  • বুকে ব্যাথা বা চাপ অনুভব করা।
  • হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া।
  • চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে চাপ অনুভব করা।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হওয়া, ঘুমের সমস্যা এবং মাথায় চাপ অনুভব করা।
  • মানসিকভাবে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
  • কাজে মনোযোগ কমে যাওয়া এবং নার্ভাস হয়ে পড়া।

উচ্চ রক্তচাপ হলে অনেক সময় রোগীর মধ্যে  উপরিউক্ত  লক্ষণ  বা  উপসর্গ  গুলো  দেখা  দেয়।তবে মাথা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যাথা বা চাপ অনুভব করলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।তা না হলে স্ট্রোকের মতো বড় ধরনের বিপদও হতে পারে।আর, যাদের রক্ত চাপের সমস্যা আছে তাদের প্রতিনিয়ত রক্তের চাপ মেপে রক্তের প্রকৃত অবস্থা জানা উচিত।

উচ্চ রক্তচাপের প্রতিকার

উচ্চ রক্তচাপ মারাত্মক একটি রোগ, একে নিরব ঘাতক রোগও বলা হয়।তাই এই রোগ প্রতিকার করা উচিত। উচ্চ  রক্তচাপ   রোগ   আপনি   দুইভাবে   প্রতিকার   করতে   পারেন।

  1. জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করে
  2. অপরটি,প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ
জীবন  যাত্রার মান  উন্নয়ন  করে  উচ্চ  রক্তচাপের  প্রতিকার  তুলে  ধরা  হলো-
  • পুষ্টিকর খাদ্য- শাকসবজি, ফল, মূল ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে হবে এবং তেল চর্বি জাতীয় খাদ্য কম পরিমাণে খেতে হবে।
  • লবণ- লবণ খাবারের সাথে কম খেতে হবে।বেশি লবণ খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ রোগীর ক্ষেত্রে ঝুকিপূর্ণ।
  • ওজন- শরীরে উচ্চতা অনুযায়ী অতিরিক্ত ওজন থাকলে কমাতে হবে।
  • ব্যায়াম- শরীর ফিট রাখতে ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিদিন আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা ব্যায়াম করুন।যেমন- হালকা হাঁটাচলা করা, দৌড়ানো বা অন্য যে কোনো ব্যায়াম
  • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ- অতিরিক্ত স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কম নিতে হবে।প্রয়োজনে- নামাজ, মেডিটেশন করুন।এটি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • মাদক পরিহার- মাদক দ্রব্য সেবনে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে মাদক পরিহার বাধ্যতামূলক।যেমন- মদ, বিড়ি, সিগারেট, ইয়াবা, ফেনসিডিল ইত্যাদি।
  • শরীর হাইড্রেট রাখুন- শরীর সব সময় হাইড্রেট রাখুন।এতে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস কম থকবে।শরীর হাইড্রেট রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
  • ক্যাফেইন জাতীয় খাবার কম খান- অতিরিক্ত ক্যাফেইন উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে।যেমন: চা বা কফি,এতে ক্যাফেইনের পরিমাণ বেশি।
  • ঘুম- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম নিশ্চিত করুন।
উপরিউক্ত টিপস মেনে, জীবনযাত্রার পরিবর্তন করেও যদি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।প্রতিনিয়ত আপনার রক্তের চাপ টেস্ট করে দেখুন,যদি স্বাভাবিক মাত্রার বেশি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবুর ভূমিকা

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।লেবুতে থাকা পটাশিয়াম শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।পটাশিয়াম  শরীরে  সোডিয়ামের  মাত্রা  নিয়ন্ত্রণ  করে ফলে  উচ্চ  রক্তচাপ  কমে।এছাড়াও  লেবুতে  থাকা  ভিটামিন  সি – একটি  শক্তিশালী  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে, রক্তনালী শিতীল রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।এছাড়াও, অতিরিক্ত ওজন রক্তচাপের একটি বড় কারণ,তাই লেবু   খাওয়ার   ফলে লেবু   শরীর   মেটাবলিজম   ঠিক   রাখে   এবং   ওজন  কমাতে   সাহায্য   করে।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবুর খাওয়ার নিয়ম

লেবু উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।তাই লেবু খাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে খেতে পারেন ফলে দ্রুত ভালো ফলাফল পাবেন এবং লেবু খাওয়ায় কিছু সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।নিম্নে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু খাওয়ার নিয়ম তুলে ধরা হলো-

  • সকালে খালি পেটে- হালকা কুসুম গরম পানিতে ১ চা চামচ বা হাপ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • সালাদ ও খাবারের- সাথে লেবুর রস ব্যবহার করে খেতে পারেন।এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী এবং খাওয়ার রুচি বাড়ায়।
  • অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এড়িয়ে-চলে, লেবু খেতে পারি।ফলে খাবারের স্বাদও বাড়বে এবং স্বাস্থ্যের ঝুকি কমবে।

সর্তকতা- লেবু আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম ও টক্সিন বের করে দিতে সহায়ক, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এটা ঠিক। তবে   অতিরিক্ত   লেবু   খাওয়ার ফলে   দাঁতের   এনামেল   ক্ষয়   হয়ে   যেতে   পারে তাই লেবু খাওয়ার পরে দাত ব্রাশ করে নেওয়া উচিত।

ওষুধ ছাড়া, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়

উচ্চ রক্তচাপ একটি দীর্ঘ মেয়াদি "নিরব ঘাতক"রোগ।তাই আপনি উচ্চ রক্তচাপ কমনোর কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে খুব সহজে এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।তাই চলুন আর কথা না বলে জেনে নিই

ওষুধ ছাড়া, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়
আপনি কিছু ফলমূল খাওয়ার মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।যেমন- তরমুজ, ডালিম, আপেল, স্ট্রবেরি, আমলকী ইত্যাদি।এছাড়াও, অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খান- শাকসবজি, বাদাম, বিট, সাইট্রাস যুক্ত ফল, ফ্যাটযুক্ত মাছ, লেবু ইত্যাদি।প্রতিদিন ২-৩ রকমের ফল খান।এ সব খাবার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক সহায়ক।

এছাড়াও, প্রতিনিয়ত শরীর চর্চা করুন। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ব্যায়াম খুবই কার্যকর। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, রক্তনালীকে  নমনীয়  রাখে  এবং   ওজন   কমিয়ে রক্তচাপ   স্বাভাবিক   করতে   সাহায্য   করে।বিশেষ করে- দৌড়ানো বা হাঁটাচলা করুন।এছাড়াও,আরও অন্যান্য ব্যায়ামগুলো করতে পারেন।যেমন- যোগা, মেডিটেশন, সাইকেল চালানো, সাতার কাটা, ওজন তোলা ইত্যাদি।এতে করে ধীরে ধীরে আপনার উচ্চ রক্তচাপ সেরে উঠবে।আর,সমস্যাটি বেশি মাত্রায় হলে ওষুধ গ্রহণ করুন, ওষুধ গ্রহণে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

তাৎক্ষণিক রক্তচাপ কমানোর উপায়

তাৎক্ষণিক রক্তচাপ কমানোর জন্য কয়েকটি প্রকৃতিক উপায় অবলম্বন করতে পারেন, যার ফলে কিছু সময়ের জন্য স্বস্তি পাবেন।তবে রক্ত চাপ অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।তবে মনে রাখবেন, নিম্নে যে উপায়গুলো দেওয়া হচ্ছে সেগুলো শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক ভাবে উপশম দিবে।

  • নাক দিয়ে দীর্ঘ শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়ুন।এটা ৫-৭ মিনিট করুন, ফলে মানসিক চাপ কমবে এবং উচ্চ রক্তচাপও কমবে।
  • পানি পান করুন- ঠান্ডা পানি পান করার ফলে শরীর রিলাক্স হবে,মানসিক চাপ কমবে।
  • শান্ত হয়ে বসে/শুয়ে থাকা- চিন্তা বা দুশ্চিন্তা রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে। তাই ১০–১৫ মিনিট নিরিবিলি জায়গায় বসে থাকুন বা শুয়ে থাকুন।
  • গরম পানিতে পা ভিজানো- এতে পায়ের রক্তনালী প্রসারিত হয় এবং রক্তচাপ দ্রুত স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে।
  • পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার- খান,যেমন- কলা, কমলা, পেঁপে ইত্যাদি।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আমরা আজকের পোস্টে উচ্চ রক্তচাপ: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়াও,উচ্চ রক্ত চাপ কোমানোর প্রাথমিক চিকিৎসা, ঘরোয়া উপায় তুলে ধরেছি। আশা করি পোস্ট টি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে।
আমাদের কোনো রোগকে অবহেলা করা উচিত না।যে  কেনো  রোগের  প্রাথমিক  অবস্থায়  যদি  যথাযথ  চিকিৎসা নেওয়া  হয়  তাহলে  সে  রোগ  প্রতিরোধ  করা  সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিফাত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url