গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার উপায়- সম্পূর্ণ গাইড
সােশ্যাল মিডিয়া মার্কোটিং করে আয় করার সহজ উপায়গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার উপায়- সম্পূর্ণ গাইড।আপনি কি গার্মেন্টস ব্যবসা করবেন ভাবছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না কিভাবে শুরু করবেন? তাহলে আজকের পোস্ট-টি আপনার জন্য। আজকের পোস্ট থেকে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার উপায়- সম্পূর্ণ গাইড জেনে নিন।
শুন্য থেকে একটা ব্যবসা দাড় করানো একটু কঠিন তাবে আপনার যদি সে ব্যবসা নিয়ে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে সহজেই লাভবান হওয়া সম্ভব।তাই আজকের পোস্ট থেকে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার উপায়- সম্পূর্ণ গাইড পেয়ে আপনার ব্যবসায়িক জীবনের যাত্রা শুরু করুন।
সূচিপত্রঃ গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার উপায়- সম্পূর্ণ গাইড
গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার উপায়- সম্পূর্ণ গাইড
গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু আপনি বিভিন্ন উপায়ে করতে পারেন।এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।প্রথমত আপনার গার্মেন্টস ব্যবসার ধরন ঠিক করা।অর্থাৎ, আপনি কোন ধরণের গার্মেন্টস ব্যবসা করবেন? যেমন-- ম্যানুফ্যাকচারিং (উৎপাদন)— নিজস্ব কারখানা খুলে টি-শার্ট, জিন্স, হুডি, স্কুল ড্রেস ইত্যাদি পোশাক তৈরি করবেন।
- বায়িং হাউস / এজেন্ট— বিদেশি ক্রেতাদের (Buyer) কাছ থেকে অর্ডার এনে স্থানীয় কারখানায় উৎপাদন করিয়ে কমিশন নেবেন।
- রিটেইল/অনলাইন ব্র্যান্ড— স্থানীয় বাজার বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে (Amazon, Daraz ইত্যাদি) নিজস্ব ব্র্যান্ডে পোশাক বিক্রি করেন।এটি চাইলে গার্মেন্টস না খুলে ঘরে বসে একাই করতে পারবেন।তবে গার্মেন্টস বানিয়ে কাজ করলে আয় বেশি হবে।
আপনার গার্মেন্টস ব্যবসার করার ধরণ সিলেক্ট করার পরে বর্তমান বাজার গবেষণা ও সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।আপনার টার্গেটেড মার্কেট ঠিক করুন।যেমন- স্থানীয়, জাতীয় নাকি আন্তর্জাতিক বাজারে সেল করবেন এবং পুরুষ, মহিলা নকি বাচ্চাদের গ্রুপের পোশাক নিয়ে কাজ করবেন? তা নিধারণ করুন।এরপর আপনার ব্যবসার প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণ করুন কারণ- একটা ব্যবসা দ্রুত উন্নতি করার পেছনে প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এমন একটা টপিক বেছে নিন যার চাহিদা বেশি এবং প্রতিযোগি কম।আর আপনি যদি বেশি প্রতিযোগিতা আছে এমন টপিক নিয়ে কাজ করেন তাহলে ব্যাবসা grow করতে কষ্ট হবে।তাই স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো কী বিক্রি করছে, দাম কত, মান কেমন এসকল বিষয় বিশ্লেষণ করুন।
এখন, আপনার বিজনেস প্লান লিখুন।পণ্যের ধরন, বাজেট ও মূলধন পরিকল্পনা, উৎপাদন ব্যবস্থা, বিক্রয় ও মার্কেটিং কৌশল, লাভের হিসাব এসকল বিষয় নিয়ে নোট করুন এবং আপনার ব্যবসার সঠিক প্লান তৈরি করুন।তারপর, আপনার গার্মেন্টস ব্যবসার জন্য আইনগত প্রক্রিয়া ও রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।যেমন— ট্রেড লাইসেন্স – স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন থেকে নিন।TIN ও BIN নিবন্ধন – ট্যাক্স ও ভ্যাটের জন্য। BSTI ও Export License (ঐচ্ছিক) – যদি এক্সপোর্ট করেন।Fire & Environment Clearance – কারখানার জন্য প্রয়োজনীয়।আপনার গার্মেন্টস ব্যবসার ধরনের উপর ভিত্তি করে যে আইনগত প্রক্রিয়া গুলো সম্পন্ন করার প্রয়োজন সেগুলো সম্পন্ন করুন এবং ডকুমেন্টস গুলো সাথে রাখুন।কারণ- এটি আপনার ব্যবসার প্রমাণপত্র।
এরপর, আপনার ব্যবসার জন্য উপকরণ গুলো সংগ্রহ করুন।- কাপড় মার্কেট: যদি কাপড়ের গার্মেন্টস ব্যবসা হয় তাহলে ইমামপুর, নাখালপাড়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
- অ্যাক্সেসরিজ: যদি অ্যাক্সেসরিজ গার্মেন্টস ব্যবসা হয় তাহলে জিপার, বোতাম, লেবেল, প্যাকেট ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
- এছড়াও,আপনি স্থানীয় সরবরাহকারী থেকে পণ্যগুলো সংগ্রহ করে শুরু করতে পারেন।
সর্বশেষ আপনাকে বিক্রিয় এবং মার্কেটিং কৌশল শিখতে হবে।আপনার পণ্য যদি ভালোভাবে সেল দিতে না পারেন তাহলে আপনার গার্মেন্টস ব্যবসায় সফল হতে পারবেন না।কয়েক মাস বা ১ বছরের মাথায় আপনার গার্মেন্টস ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হতে পারে তাই বিক্রি এবং মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করলে দ্রুত ব্যবসার মান উন্নয়ন করা সম্ভব।নিম্নে বিক্রি এবং মার্কেটিং কৌশল তুলে ধরা হলোঃ-
বিক্রি এবং মার্কেটিং কৌশল
শুধুমাত্র গার্মেন্টস ব্যবসা নয়, যে কোনো ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিক্রি এবং মার্কেটিং কৌশল জানা প্রয়োজন।আপনি যদি সঠিকভাবে মার্কেটিং কৌশল জানেন তাহলে আপনার ব্যবসার উন্নতি খুবই তাড়াতাড়ি হবে।একটা ব্যবসার ভবিষ্যৎ বলে দেয় এই মার্কেটিং কৌশল।আপনি যত ভালো মার্কেটিং কৌশল জানবেন ততো বেশি বিক্রি হবে এবং ততো বেশি ইনকাম।
- স্থানীয় দোকান বা হোলসেলে বিক্রি করতে পারেন।
- নিজস্ব অনলাইন ব্র্যান্ড তৈরি করুন— Facebook Page, Instagram, TikTok Shop,Free website তৈরি করুন (যেমন: Shopify free trial, WordPress + free hosting) ইত্যাদি দিয়ে।
- B2B প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হন— Alibaba, Indiamart, TradeKey, Fibre2Fashion ইত্যাদি।
- রপ্তানি বাজার ধরুন— বিদেশি Buyer-এর সাথে যোগাযোগ (LinkedIn, Buyer Directory)
এভাবে কাজ করলে আপনার গার্মেন্টস ব্যবসায় লাভবান হতে পারবেন। ব্যবসা করতে গেলে লাভ বা লস হতে পারে তবে আপনি যদি ব্যবসায় সঠিক প্লান তৈরি করে কাজ করতে পারেন তাহলে খুবই ভালো পরিমাণে লাভবান হওয়া সম্ভব। আমাদের সকলের চাকরির পেছনে না ছুটে এমন উদ্দোক্যতা হওয়া উচিত।
রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা করার নিয়ম
রেডিমেড ব্যবসা করতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে রেডিমেড ব্যবসা কি? রেডিমেড ব্যবসা হলো- আগে থেকেই তৈরি করা (টি-শার্ট, প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি ইত্যাদি) ক্রয় করে বিক্রি করা।চাইলে নিজে তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।রেডিমেড ব্যবসা করতে হলে আপনি সর্বপ্রথম নির্দিষ্ট একটা নিশ বেচে নিন যেমন- টি-শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি বা মেয়েদের পোশাক এতে করে আপনার ব্যবসা পেশাদার মনে হবে।আর আপনি যদি অনলাইনে প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করতে চান, সেক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন।ফেজবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময় সঠিক অডিয়েন্স টার্গেট করতে পারবেন।
রেডিমেড ব্যবসা আপনি ৩ টি উপায়ে করতে পারেন।নিজে মার্কেট তৈরি করে/দোকান ভাড়া নিয়ে, অনলাইননে বিক্রি করতে পারেন এবং হোলসেল সাপ্লাই দিতে পারেন।এই তিন উপায়ের মধ্যে আপনার ইচ্ছা মতো ব্যবসার কাজে লাগাতে পারেন।এখন প্রোডাক্ট কিনবেন কিভাবে?
- স্থানীয় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি থেকে সরাসরি কিনতে পারেন- নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী, গাজীপুর, মিরপুর – এসব এলাকায় হোলসেল মার্কেট আছে।
- হোলসেল মার্কেট থেকে সংগ্রহ করতে পারেন- ইসলামপুর (ঢাকা), চট্টগ্রাম নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, নিউমার্কেট – হোলসেল দামে পাওয়া যায়।
- অনলাইন হোলসেল সোর্স- আপনি যদি অনলাইন থেকে কিনতে চান তাহলে আলিবাবা, TradeKey, Fibre2Fashion, BanglaBazar24 ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
যদি অনলাইনে মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করতে চান তাহলে ফেজবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদিতে add চালান।নিজের ওয়েবসাইট অনলাইন শপ তৈরি করে নিতে পারেন এতে কাস্টমারের আপনার প্রতি বিশ্বাস বাড়বে।এছাড়াও, Daraz এর মতো ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে নিজের পণ্যর ছবি এবং ডেলিভারি অপশন সেট করে বিক্রি করতে পারেন। কাস্টমারের কাছ থেকে নতুন নতুন প্রোডাক্টের রিভিউ অর্থাৎ, ফিডব্যাক নিন এবং প্রোডাক্টের মান উন্নায়ন করুন।প্যাকেজিং সুন্দর রাখুন — এটা কাস্টমারের কাছে ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়ায়।কাস্টমারের রিভিউ গুলো পোস্ট করুন এতে আরও লোকজন প্রোডাক্ট কিনতে বিশ্বস্তা বোধ করবে এবং অডার করবে।সর্বশেষ ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে প্রতিদিনের হিসাব ঠিক রাখুন।দৈনিক বিক্রয়, খরচ, লাভ ইত্যাদি হিসাব রাখলে সহজে টিকে থাকা যায়।
মিনি গার্মেন্টস ব্যবসা করার উপায়
মিনি গার্মেন্টস ব্যবসা বর্তমান খুবই জনপ্রিয় কারণ- এতে খরচ অনেক কম।এটি করার জন্য (২-৩)টা মেশিন (৩-৪) জন কর্মচারী এবং নিজের বাড়ি বা ছোট দোকান ভাড়া নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন।মিনি গার্মেন্টস ব্যবসা আপনি তিন ভাবে করতে পারেন।নিম্নে তুলে ধরা হলো:
- অর্ডার ভিত্তিক প্রোডাকশনঃ স্থানীয় দোকান বা অনলাইন ব্র্যান্ডের অর্ডার নিয়ে তৈরি করা।
- নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরিঃ নিজের ব্র্যান্ডে পোশাক তৈরি ও বিক্রি।
- সাব-কন্ট্রাক্ট কাজঃ বড় কারখানার ছোট কাজ (যেমন: হাতা সেলাই, ফিনিশিং, প্যাকিং) নেওয়া।
প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য স্থানীয় দোকান, বুটিক, অনলাইন ব্র্যান্ডের সাথে সম্পর্ক গড়ুন। তাহলে খুবই দ্রুত ব্যবসার উন্নতি হবে। তবে, ছোট বা বড় যে কোনো ব্যবসায় আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাখা উচিত।যেমন: ট্রেড লাইসেন্স, TIN সার্টিফিকেট ইত্যাদি। মনে রাখবেন ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনি যদি এগুলো না রাখেন তাহলে সেটা আইন ভঙ্গ হবে।পুলিশ জানতে পারলে আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবে।তাই ট্রেড লাইসেন্স- স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিতে পারবেন এবং TIN সার্টিফিকেট – অনলাইনে https://www.incometax.gov.bd থেকে ফ্রি নেওয়া যায়।আবেদন সম্পন্ন করলেই পেয়ে যাবেন।
কিভাবে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করব?
অনেকেই চাই গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করতে কিন্তু বুঝতে পারে না কিভাবে শুরু করবে? কোথা থেকে কিভাবে শুরু করলে ভালো হয় তাই চলুন জেনে নিই কিভাবে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করবো?
গার্মেন্টস ব্যবসা করার জন্য আপনাকে সর্ব প্রথম সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন ধরণের গার্মেন্টস খুলবেন? ছেলেদের কাপড় নাকি মেয়েদের কাপড়ও তৈরি করবেন? তারপর সিলেক্ট করতে হবে কিভাবে কাপড়গুলো সেল দিবেন? স্থানীয় মার্কেটে নাকি আন্তর্জাতিক বাজারে। তারপর ব্যবসা অনুযায়ী কর্মচারী নিয়োগ করুন এবং মেশিন ক্রয় করুন।গার্মেন্টস ব্যবসায় দ্রুত সফল হতে চাইলে প্রোডাক্টের অডিয়েন্স টার্গেটিং জানতে হবে। আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছেন তার মার্কেট ভ্যালু কেমন? স্থানীয় মার্কেটে নাকি আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করলে ভালো সেল হবে ইত্যাদি।এসকল দিক বিবেচনা করে আপনার গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
গার্মেন্টস ব্যবসা করতে কত টাকা
আমরা ইতি মধ্যে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার উপায় এবং রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা করার নিয়ম, মিনি গার্মেন্টস ব্যবসা করার উপায় তুলে ধরেছি তাই কোন ধরণের গার্মেন্টস ব্যবসা করতে কত টাকা লাগবে তা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-
রেডিমেট গার্মেন্টস ব্যবসা। রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা মানে হলো — আগে থেকেই তৈরি পোশাক (যেমন শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট ইত্যাদি) সংগ্রহ করে বিক্রি করা।এক্ষেত্রে কেমন খরচ হবে তুলে ধরা হলো-
| খরচের খাত | আনুমানিক বাজেট (BDT) |
|---|---|
| মালামাল (প্রথম লট) | ১–২ লক্ষ |
| দোকান/গুদাম ভাড়া | ২০,০০০–৫০,000 |
| সাজসজ্জা ও র্যাক | ৩০,০০০–১ লক্ষ |
| ট্রেড লাইসেন্স ও ট্যাক্স | ৫,০০০৳–১০,০০০৳ |
মোট আনুমানিক শুরু বাজেট। ২–৪ লক্ষ টাকার মধ্যে। এবার চলুন, মিনি গার্মেন্টস ব্যবসা করতে কত টাকা জেনে নিই।
| সরঞ্জাম | আনুমানিক দাম (BDT) |
|---|---|
| Lockstitch মেশিন ৩–৫ টি | ৫০,০০০–১ লক্ষ |
| Overlock মেশিন ১ টি | ২৫,০০০–৩০,000 |
| Flatlock মেশিন (ঐচ্ছিক) ১ টি | ৩০,000+ |
| কাটিং টেবিল ও সরঞ্জাম ১ সেট | ১৫,০০০ |
| স্টিম আয়রন ১ টি | ৫,০০০ |
| মোট প্রাথমিক সরঞ্জাম খরচ= | প্রায় ১.৫–২.৫ লক্ষ টাকা |
আর, আপনি যদি এই ব্যবসা অনলাইন ভিত্তিক করতে চান তাহলে খরচ আরও কমে যাবে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।
গার্মেন্টস ব্যবসায় সফল হওয়ার টিপস
গার্মেন্টস ব্যবসায় সফল হতে হলে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে।কারণ- বাবা শুরুর প্রথম দিন থেকেই আপনার ভালো কাজ হবে না। প্রথমত আপনাকে লোকজনের কাছে বিশ্বস্ত হতে হবে।আপনার ব্যবসার পরিচয় বাড়াতে হবে।নিম্নে গার্মেন্টস ব্যবসায় সফল হওয়ার টিপস তুলে ধরা হলোঃ-
আপনার গার্মেন্টস-এর প্রোডাক্টের মান নিয়ন্ত্রণ করুন।ভালো মানের কাপড় ও ফিনিশিং বজায় রাখুন তারপর পণ্য নিজস্ব লোগো এবং ভালো প্যাকেজিং করুন এতে কাস্টমারের কাছে ব্রান্ডের ইমেজ বজায় থাকবে। এছড়াও, গ্রাহকদের ফিডব্যাক নিন এবং প্রোডাক্টের মান উন্নত করুন।ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে প্রোডাক্টের মান ও সময় এই ২ টি বিষয় কখনো ছাড় দেবেন না।এই ব্যবসায় হুট করেই অনেক টাকা ইনভেস্ট করবেন না।প্রথমে অল্প দিয়ে শুরু করুন তারপর আস্তে আস্তে ব্যবসা বড় করুন।একসাথে অনেক টাকা ইনভেস্ট করলে যদি লস খেয়ে যান তাহলে বড় ধরনের ধাক্কা খাবেন।
ছোট দিয়ে শুরু করুন লাভের একটা অংশ দিয়ে আবার বিনিয়োগ করুন এভাবে আপনার গার্মেন্টস ব্যবসা বড় করুন।সিজনাল পোশাক তৈরি করুন (শীতের জ্যাকেট, ঈদের কালেকশন ইত্যাদি)। বিভিন্ন ধরণের প্রোডাক্টের ডিজাইন ট্রেন্ড দেখুন (Pinterest, Instagram)। কারণ- ট্রেন্ডি ডিজাইন খুব সহজেই মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন। আপনার গার্মেন্টস ব্যবসার পরিচয় বাড়াতে ভালো কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের দিয়ে প্রোমোশন ভিডিও পোস্ট করাতে পারেন।এতে খুব সহজে আপনার ব্রান্ডের পরিচয় বাড়বে।
শেষ কথা- গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার উপায়
আজকের পোস্টে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার উপায়- সম্পূর্ণ গাইড তুলে ধরেছি।এছাড়াও, গার্মেন্টস ব্যবসা করতে কত টাকা,গার্মেন্টস ব্যবসায় সফল হওয়ার টিপস নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করি পোস্ট টি আপনার গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে গাইড পেয়েছেন।এখন আপনি সহজেই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।আপনার যদি এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।


রিফাত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url