গ্রিন টি নাকি কফি কোনটা খাওয়া ভালো-জেনে নিন

১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা দিবস-এর ইতিহাসগ্রিন টি নাকি কফি কোনটা খাওয়া ভালো জেনে নিন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।গ্রিন টি তে রয়েছে ক্যাচেটাইন এবং ক্যাফেয়েইন এর মতো উপাদান যা আপনার শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন উপকার করে।

গ্রিন টি নাকি কফি কোনটা খাওয়া ভালো

গ্রিন টি খাওয়া যেমন উপকার ঠিক তেমনই অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে হতে পারে সমস্যা।তাই গ্রীন টি খাওয়ার সঠিক নিয়ম,কাদের জন্য গ্রিন টি খাওয়া ঠিক না এ সব বিষয়ে আগে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।আজকের আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ুন এবং গ্রীন টি আর কফি খাওয়ার উপকার জানুন

পোস্ট সূচিপত্রঃ- গ্রিন টি নাকি কফি কোনটা খাওয়া ভালো-জেনে নিন

গ্রিন টি নাকি কফি কোনটা খাওয়া ভালো

গ্রিন টি এবং কফি ২ টোতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্রিডেন্ট অনেক।গ্রিন টি এবং কফি দুইটাই আপনার শরীরের জন্য উপকার কিন্তু গ্রিন টি এবং কফি খাওয়ার সময় চিনি এবং দুধ ব্যবহার করা যাবে না।আপনি যদি দুধ এবং চিনি ব্যবহার করেন তাহলে কোনো প্রকার উপকার পাবেন না।

গ্রিন টিঃ- গ্রিন টি আপনার শরীরের মেটাবলিজোম বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরের চর্বি কমিয়ে দেয় বিশেষ করে পেটের ভুড়ির চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তবে এটি একটি ধীরগতি সম্পন্ন প্রক্রিয়া।শরীরে ওজন কমায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও,শরীরে এনার্জি তৈরি করে। টি ওজন কমানোর জন্য ধীরগতির হলেও এটা আপনার জন্য বেস্ট হবে।

কফিঃ- কফি খাওয়াও ভালো এটা আপনার শরীরের কিছু সময়ের জন্য ক্ষুধা কমিয়ে দিবে এবং শরীরের এনার্জি দেয়।আপনি সকালে ব্যায়াম করার আগে খেতে পারেন।কফি তে ক্যাফেয়িনে মাত্রা অনেক বেশি তাই এর ফলে আপনার ঘুমের সমস্যা এবং গ্যাসট্রিকের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।আপনি যদি পরিমাণ মতো খান তাহলে ভালো। অতিরিক্ত মাত্রা ক্ষতিকর।

বি:দ্রঃ- গ্রিন টি এবং কফি দুইটাই আপনার জন্য উপকারী হলেও, সবার জন্য নাও হতে পারে।তবে এটি দিনে দিনে আগে অল্প অল্প করে খান তারপর বাড়িয়ে নিবেন।যদি আপনার শরীরের সুট করে।কফি-তে যেহেতু অতিরিক্ত ক্যাফেইন থাকে যা নিদ্রা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা করতে পারে তাই এটি কম ব্যবহার করুন অন্য দিকে গ্রিন টি ধীরে ধীরে আপনাকে ফলাফল দিলেও,গ্রিন টি খাওয়া ভালো কারণ এটি আপনার ওজন কমিয়ে দীর্ঘ সময়ের একটা সলিউশন দিবে।তবে আপনি যদি অতি কম সময়ে ওজন কমাতে চান তাহলে কফি খেতে পারেন।আশা করি বুঝতে পারছেন কোটা খাওয়া আপনার জন্য বেস্ট।

ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম

গ্রিন টি কি সত্যই আপনার শরীরের ওজন কমাবে?অনেকেই শুনছেন গ্রীন টি খেলে শরীরের ওজন কমে,এটা ঠিক। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম মানতে হবে তার না হলে সঠিক কার্যকরীতা পাবেন না।

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা নাস্তা করার পর গ্রীন টি খাবেন।অবেকেরই একটা ভুল ধারণা রয়েছে সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া ভালো কিন্তু এটা একদম ঠিক নয়। খালি  পেটে  গ্রিন টি  খেলে পাকস্থলীর ক্ষতি হতে পারে,গ্যাস এসিডিটির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।তাই আগে কিছু হলকা খাবার খান তারপর গ্রিন টি খান।

আপনি চাইলে দিনে ৩ বার গ্রিন টি খেতে পারেন।যেমন:সকালে নাস্তার পরে,দুপুরে খাওয়ার পরে এবং রাতে ঘুমানোর আগে ১ কাপ।তবে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রিন টি খাবেন না এটা আপনার শরীরের ক্ষতি করবে।তাই নিয়ম মেনে খান।
নিয়ম মেনে গ্রিন টি খাওয়ার পাশাপাশি,আপনার খাবারের দিকে নজর দিতে হবে,তেল চর্বি যুক্ত খাবার কম খাবেন,বেশি বেশি পানি পান করবেন,ব্যায়াম করবেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো এসব দিক মেনে চললে ইনশাআল্লাহ, আপনি খুব ভালো ফলাফল পাবেন।অতিরিক্ত ফ্যাট কমে যাবে।

গ্রিন টি বানানোর সঠিক নিয়ম

ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি পান করে থাকলেও অনেকেই সঠিক ফলাফল পান না,ওজন কমে না।অনেকেই গ্রিন টি খাওয়ার সময় তার স্বাদ বাড়ানোর জন্য মিষ্টি জাতীয় কিছু মিশিয়ে থাকেন।যেমন:চিনি,মধু ইত্যাদি।তবে এগুলো মিশ্রিত করা যাবে না।এগুলোর মধ্যে যে উপাদান গুলো থাকে তাহলে আপনার ওজন কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিতে পারে।তাই চলুন জেনে নিই গ্রিন টি বানানোর সঠিক নিয়মঃ-
  1. একটি পাতিলে পানি গরম করে নিন এবং একটি কাপে গরম হওয়ার পর ঢেলে নিন।
  2. তার পর গরম পানির কাপে ১ টি গ্রিন টি ব্যাগ অথবা ১ চা চামচ গ্রিন টি নিবেন।
  3. দুই-তিন মিনিট পরে টি ব্যাগ দিলে উঠাই ফেলে দিবেন।চাইলে স্বাদ বাড়ানোর জন্য লেবুর রস মেশাতে পারেন তবে,ভুলেও মিষ্টি জাতীয় কিছু মেশাবেন না।

খালি পেটে কি গ্রিন টি খাওয়া উচিত

খালি পেটে কি গ্রিন টি খাওয়া উচিত

আমরা অনেক সময় খালি পেটে গ্রিন টি খাই করে কিন্তু এটা একদম ঠিক না।খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়ার ফলে আপনার পাকস্থলীর ক্ষতি হতে পারে।পাকস্থলীর চারপাশের ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।এছাড়াও, গ্যাসট্রিক, বদহজম,বমি বমি ভাব ইত্যাদি হতে পারে।

গ্রিন টি খাওয়ার আগে কিছু হালকা খাবার খেয়ে নিন তারপর গ্রিন টি, লাল চা বা কফি পান করুন ফলে পেটে ক্ষতি হবে না।আরও ভালো হয়,যদি সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে হালকা কিছু খাবার খাওয়ার ১৫-২০ মিনিট পরে গ্রিন টি খান।
আপনি যখন আগে হালকা খাবার খেয়ে নিচ্ছেন ফলে আপনার শরীরের মেটাবলিজম ঠিক থাকবে।খাবার হজমেও কোনো সমস্যা হবে না,থাকবে না কোনো পার্শপ্রতীকক্রিয়া।

কাদের গ্রিন টি খাওয়া উচিত না

কাদের গ্রিন টি খাওয়া উচিত না বা কারা গ্রিন টি খাবেন না সে বিষয়ে আলোচনা করবো।

যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা আছে তারা গ্রিন টি পান করবেন না গ্রিন টি খেলে আপনার আরও গ্যাসের সমস্যা বাড়িয়ে দিবে।এছাড়াও খালি পেটে খেলে অম্বল,বমি বমি ভাব ইত্যাদি হতে পারে।যাদের শরীরে রক্তচাপ কম তারা গ্রিন টি খাবেন না কারণঃআপনার রক্ত চাপ আরও কমিয়ে দিতে পারে।

এছাড়াও গর্ভবতী নারী গ্রীন টি পান করলে শরীরের আয়রন শোষণ কমে যেতে পারে যা গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।তাই  গর্ভবতী  নারীর গ্রিন টি  খাওয়ার  ক্ষেত্রে  সর্তকতা  অবলম্বন  করা  উচিত

ওজন কমানোর কার্যকরী ব্যায়াম

ওজন কমাতে হলে ব্যায়াম করা জরুরি,শুধু গ্রিন টি পান করলেই আপনার ওজন কমবে না।হ্যা, এটা ঠিক  গ্রিন টি পান  করলে  শরীরের  ওজন  কমে  কিন্তু এটা খুব ধীর গতি সম্পন্ন।আপনি যদি গ্রিন টি খাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার শরীরের ওজন কমবে এবং শরীর থাকবে ফিট।তাই চলুন ওজন কমানোর কিছু কার্যকরী ব্যায়াম জেনে নিই
ওজন কমানোর কার্যকরী ব্যায়াম


  • জগিং
  • স্কিপিং
  • পুশ আপস
  • দৌড়
  • বাইসাইকেল ক্রাঞ্চ
  • সাইকেল চালানো
  • স্কোয়াট
  • লাংগেস

লেখকের শেষ মন্তব্য

আমরা আজকের আর্টিকেলের মধ্যে গ্রিন টি নাকি কফি কোনটা খাওয়া ভালো,ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম,গ্রিন টি বানানোর সঠিক নিয়ম,খালি পেটে কি গ্রিন টি খাওয়া উচিত কিনা এসব বিষয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।আশা করি আর্টিকেল টি পড়ার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারছেন গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা

এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।আর আমাদের পোস্ট টি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ারের মাধ্যমে আপনার প্রিয়জনকে জানার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিফাত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url