রাতকানা রোগ কেন হয়?- রাত কানা রোগ প্রতিকারের উপায় জেনে নিন
পড়াশোনায় AI ব্যবহারআপনার বা আপনার পরিবারে কারোর রাতকানা রোগ আছে বলে মনে হচ্ছে,তাহলে আজকের আর্টিকেল টি পড়ুন এবং রাত কানা রোগের লক্ষণ এবং রাত কানা রোগ কেন হয়?- রাত কানা রোগ প্রতিকারের উপায় জেনে নিন।
রাতকানা রোগ বয়স্ক ব্যাক্তির তুলনায় সবচেয়ে শিশুদের বেশি হয়।তাই আজকের আর্টিকেল থেকে রাতকানা রোগ প্রতিকারের উপায় জেনে নিন।
সূচিপত্রঃ- রাতকানা রোগ কেন হয়?- রাত কানা রোগ প্রতিকারের উপায় জেনে নিন
রাতকানা রোগ কেন হয়?- রাত কানা রোগ প্রতিকারের উপায় জেনে নিন
অনেকেই মনে করেন রাতকানা রোগ ঠিক হয় না,কিন্তু এটা ঠিক নয়,এ রোগের জন্য ১ম অবস্থাতেই যদি সঠিক চিকিৎসা নেওয়া যায় তাহলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
রাতকানা রোগ হওয়ার পরপরই দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং সে অনুযায়ী চলুন তাহলে দ্রুত সুস্থ হবেন।এছাড়াও আপনি বেশি বেশি ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খাবেন তাহলে আপনার ভিটামিনের ঘাটতি দ্রুত পূরণ এবং দ্রুত এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
রাতকানা রোগ সাধারণত পুষ্টিহীনতার কারণে হয়।যাদের খাদ্য তালিকায় বিশেষ করে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ কম থাকে তাদের এরোগ হয়।যারা অনেক দরিদ্র প্রতিনিয়ত একইরকম খাবার খায় তাদের পুষ্টিহীনতার সমস্যা দেখা দেয়।কারণঃ তারা প্রতিনিয়ত একই খাবার খাচ্ছে। অন্যান্য খাবার খাচ্ছে না,ফলে ভিটামিনের ঘাটতি।তাই দারিদ্র এলাকাগুলোতে রাতকানা রোগ বেশি হতে দেখা যায়।
রাত কানা রোগ কেন হয়?
আমাদের চোখের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে রাতকানা রোগ কেন হয় জানা জরুরি।তাই জেনে নিন রাত কানা রোগ কেন হয়?
রাতকানা রোগ সাধারণত ভিটামিন-এ অভাবে হয়।চোখের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন-এ,যা আপনার চোখকে সঠিকভাবে আলো গ্রহণ করতে সহায়তা করবে।এই ভিটামিনের অভাব হলে আলো ভালোভাবে চোখের রেটিনায় প্রভাব ফেলতে পারে না।তাই চোখের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
পুষ্টিহীনতার কারণেও রাতকানা রোগ হয়।আমাদের সুস্থ সবল ভাবে জীবন যাপন করতে হলে পুষ্টি গ্রহণ করতে হবে।পুষ্টির অভাবে শুধুমাত্র রাতকানা রোগ নয় আরও বিভিন্ন ধরণের রোগ হতে পারে।বিশেষ করে পুষ্টিহীনতার কারনে শিশু এবং গর্ভবতী নারীরা রাতকানা রোগে আক্রান্ত হয়।
রাতকানা রোগ ভিটামিন-এ এবং পুষ্টি হীনতার কারণেই যে হয় এমন না।রাতকানা রোগ হওয়ার পেছনে আরও কারন রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম "জেনেটিক কারণ"।অনেক ফ্যামেলিতে দেখা যায় রাতাকানা রুগী আছে ফলে ঐ ফ্যামেলিতে কেউ জন্মগ্রহণ করলে তারও রাতকানা রোগ হতে পারে।এছাড়াও,অনেকেই আবার অন্যান্য রোগ যেমন: ডায়বেটিস,লিভারের সমস্যা ইত্যাদির কারণে দীর্ঘ দিন ওষুধ সেবন করছে,যার ফলে দীর্ঘ দিনের ওষুধ সেবনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাতকানা রোগ হতে পারে।
রাত কানা রোগের প্রতিকার
রাত কানা রোগের প্রতিকার- করার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে।
- বেশি বেশি ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিনের ঘাটতি কমে গেলে আপনার রাতকানা রোগ ঠিক হবে।
- শিশুদের প্রতিনিয়ত টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ান।শিশুদের বেশি বেশি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।
- চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।অনেক সময় জটিল রোগে চোখের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে,যার ফলে অস্ত্র পাচার করতে হতে পারে তাই রাতকানা রোগের লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খান।তাহলে রোগ বেড়ে উঠার আগে দমন করা সম্ভব হবে।
রাতকানা রোগের লক্ষণ
রাতকানা রোগ হয়েছে কিনা বুঝতে হলে,রাতকানা রোগের লক্ষণ জানতে হবে।নিম্নে লক্ষণগুলো তুলে ধরা হলোঃ-
- দিনের বেলা সবকিছু ঠিকটাক দেখতে পেলেও রাতে বেলা দেখতে না পাওয়া।অর্থাৎ,সন্ধ্যার পরে ঝাপসা দেখতে পাওয়া আস্তে আস্তে একদম অন্ধকার দেখা।
- দৃষ্টি শক্তি কমে আসা,রাতে চোখে জ্বালা পোড়া করা ইত্যাদি।
- শিশুদের ক্ষেত্রে ঠিক একইরকম, সঠিক বস্তু চিনতে না পারা।হাটাচলা করার সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়া।
এই রোগ প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।বেশি করে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
শিশুদের বেশি রাত কানা রোগ হয় কেন?
একটা শিশু জন্মের পর স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি।কিন্তু অনেক শিশু এই পুষ্টির অভাবে শরীরে প্রয়োজনমতো ভিটামিন-এ পাচ্ছে না,যার ফলে রাতকানা রোগ দেখা দিচ্ছে।বিশেষ করে দারিদ্র ফ্যামেলিগুলোর শিশুরা বেশি পুষ্টি হীনতায় ভোগে।যার ফলে তারা সঠিক চিকিৎসাও পায় না।তাই দারিদ্র অঞ্চলের শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগ বেশি হতে দেখা যায়।
কোন ভিটামিনের অভাবে রাত কানা রোগ হয়
ভিটামিন-এ অভাবে রাত কানা রোগ হয়।ভিটামিন-এ চোখের রেটিনা স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।যখন ভিটামিন-এ অভাব দেখা দেয় তখন চোখের রেটিনায় প্রভাব ফেলে যার ফলে রাতকানা রোগ হয়।অর্থাৎ,রাতের বেলায় চোখে কম দেখে।এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে বেশি বেশি ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।ভিটামিন-এ ঘাটতি ঠিক হলে আপনার চোখের রেটিনা আবার স্বাভাবিক ভাবে কাজ করবে।
রাতকানা রোগে কোন খাবার খাওয়া উচিত
রাতকানা রোগ মূলত ভিটামিন-এ অভাবে হয়ে থাকে তাই রাতকানা রোগে বেশি বেশি ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।নিম্নে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ কিছু খাবারের নাম তুলে ধরা হলো-
- দুধ
- ডিমের কুসুম
- কুমড়া
- গাজর
- শাকসবজি
- কলিজা
- আম
- টমেটো
- চিজ/পনির
- মিষ্টি আলু
- পেঁপে
- আমড়া
- ঘি
- বাটার
- মাছের তেল
- দুই
রাতকানা রোগে-পরামর্শ
আমরা আজকের আর্টিকেলে রাতকানা রোগ কেন হয় এবং রোগের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম।
রাতকানা রোগ বিশেষ করে শিশু এবং গর্ভবতী নারীর বেশি হয়।তাই তাদেরকে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে।এই খাবার চোখের রেটিনা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ডাক্তারের পরামর্শ- রাতকানা রোগের প্রথম অবস্থাতেই যদি আপনি ভালো চিকিৎসা নেন এবং পুষ্টিকর খাবার খান তাহলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব।দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার ফলে চোখের বড় কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
রিফাত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url